বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র এবং জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে দেশটির ১৭ হাজার দ্বীপে একযোগে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদ এবং পার্লামেন্ট-প্রাদেশিক আইনসভার ২০ হাজার ৬০০ আসনে প্রার্থিতা করছেন প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার প্রার্থী। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আজ বুধবারই শেষ হবে ভোটগ্রহণ এবং আজই জানা যাবে, কে হচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
ইন্দোনেশিয়ার এই নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম একদিনের নির্বাচন। তবে দেশটির সাধারণ জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহের মূল আগ্রহ দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। কারণ এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদাদো।
প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল প্রোবোয়ো সুবিয়ান্ত। সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর সময়কার এই সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া জোকো উইদাদোর নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের দুইজন গভর্নর গাঞ্জার প্রানোয়ো এবং আনিস বাসউইদানও প্রার্থী হিসেবে আছেন এই দৌড়ে।
গত সপ্তাহে দু’টি জরিপে দেখা গিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট পদে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল প্রোবায়ো সুবিয়ান্তের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৫১ শতাংশ ভোটারের। আর গাঞ্জার প্রানোয়ো এবং আনিস বাসউইদানের প্রতি সমর্থন রয়েছে যথাক্রমে ৩১ এবং ২৭ শতাংশ ভোটারের।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোকো উইদাদোর সবচেয়ে বড় সাফল্য দেশটির অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার। ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির আয়তন ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন এবং করোনা মহামারির জেরে এই অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু গত দুই বছরে অনেকটা ছন্দে ফিরেছে দেশটির অর্থনীতি এবং এর কৃতিত্ব অনেকটাই জোকো উইদাদোর।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে যে দু’টি জরিপ হয়েছে, সেখানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশটি যে অর্থনৈতিক নীতিতে চলছে— সামনের দিনগুলোতেও এমনটাই দেখতে চান তারা।
বিএসডি / এলএম