নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাংকের পর এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও (এনবিএফআই) বাতিল হলো হাইব্রিড মিটিং। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়ে পরিচালকদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোর হাইব্রিড মিটিং বাতিল করে নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ মে এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সভার গুরুত্ব ও শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভাগুলো হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই সার্কুলার লেটারটি বাতিল করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় পরিচালকদের সক্রিয় ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রম যথাযথভাবে চলমান রাখার স্বার্থে সভাগুলোতে সংশ্লিষ্ট সকলের শারীরিক উপস্থিতিতে আয়োজনের করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন নয় এরূপ ফাইন্যান্স কোম্পানির বিদেশি পরিচালকরা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতারা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। অনেক বিদেশে পালিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে আছেন। তাদের জন্য এ নির্দেশনা অশনি সংকেত। কারণ তারা চাইলেও আর বিদেশে বসে বা অজ্ঞাত স্থান থেকে আর ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না—এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টানা তিন মাস পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে, কোনো পরিচালক বিদেশে অন্যূন ৩ মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করলে তার বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে পর্ষদ।