নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার একাধিক নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যারিয়েন্ট। এর পূর্বসুরী ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টকে ইতিমধ্যে মারাত্মক হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি করোনার আরেক ভ্যারিয়েন্ট ‘লাম্বডা’ শণাক্ত হয়েছে। দেশটিতে ৬ জনের শরীরে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
লাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট সর্বপ্রথম দেখা যায় পেরুতে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) কর্তৃপক্ষের মতে, লাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর অসুস্থতা ঘটাতে পারে বলে কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া করোনার টিকার কার্যকারিতা এটি হ্রাস করতে পারে বলে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য সংস্থাটি লাম্বডা (সি.৩৭) ভ্যারিয়েন্টকে আপাতত ‘তদন্তাধীন’ ক্যাটাগরিতে রেখেছেন। তবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জনসচেনতার জন্য লাম্বডা ভ্যারিয়েন্টের কিছু উপসর্গ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- জ্বর, নতুন বা একটানা কাশি, গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিত ব্যক্তিরা এগুলোর মধ্যে অন্তত একটি উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। ভাইরাসের বিস্তার রোধে অবশ্যই করোনা টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/এমএম