নিজস্ব প্রতিবেদক,
‘লকডাউন’ বিবেচনায় এক মাসের বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালীন রান্নার পাতিলে আগুন জ্বালিয়ে ভাড়াটিয়াদের দুরবস্থার প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সরকার ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়ন করে। ঈদের পর আবারও ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাকালীন ‘লকডাউনের’ ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কর্ম হারিয়ে তারা আজ দিশেহারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভাড়াটিয়াদের কষ্ট-দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে। এ করুণ অবস্থাতেও অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়িয়েছেন। অনেক ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছেন। কর্মহীন থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া পরিশোধ তাদের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। অসহায় দরিদ্র এসব ভাড়াটিয়ার এক মাসের ভাড়া মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়া থাকেন। চলমান ‘লকডাউন’ ও ঈদের কারণে তাদের সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন, এখনো অনেকে ছাড়ছেন। ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত। আর ঢাকায় ফিরলেও কর্মে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। সরকার করোনা মহামারির প্রকোপ কমাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু অসহায় ভাড়াটিয়াদের দুর্ভোগ লাঘবে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। আমরা ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মোস্তফা, মো. জামাল শিকদার, মাকসুদুর রহমান, দেলোয়ার আহমেদ জয়, আজম মোল্লা, মো. শামীম, শাজাহান সিরাজ, ফৌজিয়া হাসান লিপি, তুহিন চৌধুরী, সম্পদ কবির প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম