নিজস্ব প্রতিবেদক
৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আগামী শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে দুই দেশের মধ্যে থাকা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত সফরে আমাদের এখানে আসবেন। এটা কিন্তু অফিসিয়াল সফর। সফরে সব উপাদান থাকবে। আমরা হয়ত আরও বড় সফরের আয়োজন করতে পারতাম। কিন্তু উনি বলল, না আমি এখনই আসব। এসে ওনার সঙ্গে দেখা করে যাব এবং এটাকে আমরা একটা অফিসিয়াল সফর হিসেবে করতে চাই। কাজেই এই সফরে সব উপাদান থাকবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো থেকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, ওয়ান টু ওয়ান মিটিং এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ; সব কিছু এটাতে হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্মুথলি আয়োজন করেছি। উনি আসছেন ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী, পরিবহন উপ-মন্ত্রী, ধর্ম উপমন্ত্রী ও দুজন সংসদ সদস্য থাকবেন প্রতিনিধিদলে।
ড. ইউনূসের সঙ্গে আনোয়ার ইব্রাহিমের বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম যিনি ফোন করেছিলেন তিনি আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ড. ইউনূসের খুব কাছের মানুষ। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আছে। সবকিছু নিয়ে আলাপ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয় রয়েছে, বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। আমাদের শ্রম ইস্যু আছে।
তিনি বলেন, কিছু সমস্যাও আছে। আমরা চেষ্টা করব সেগুলো যতটা দূর করা যায়। যেহেতু দুইজন সরকারপ্রধানের মধ্যে ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান আমরা আশা করি আমাদের মধ্যে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলোর অনেকখানি সমাধান করতে পারব। আমি বলছি না, একদিনের সফরে সবকিছু সমাধান করতে পারব। অন্তত তারা পথ দেখাতে পারবেন। যাতে আমরা কাজ করতে পারি।
২০২৫ সালে আসিয়ানের চেয়ার হতে যাচ্ছে মালযেশিয়া। এই সুবাদে রোহিঙ্গা সমস্যাসহ আসিয়ানের সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশের সুবিধা দেখছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আসিয়ানের চেয়ার হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। আমরা প্রত্যাশা করব রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে আসিয়ানে মালয়েশিয়া আরেকটু শক্ত ভূমিকা নেবে। আসিয়ানের পক্ষ থেকে যাতে করে এই সমস্যা সমাধান করা সহজ হয়। এছাড়া, আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চাই। আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যানশিপের মধ্যদিয়ে এটা হয়ে যাবে।