শীতের শুরুতেই পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটায়। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ইকো পার্ক, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লি, রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ আকর্ষণীয় স্পটগুলো পর্যটক ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে ছিল মুখরিত।
রেস্তোরা, আবাসিক হোটেল, চায়ের দোকানগুলো এখন সরগরম। হই-হুল্লোড় আর সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেফলি তুলে উপভোগ করেছেন পর্যটকরা।
স্থানীয় ও কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা বলেছেন, এক সময় কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মাত্র ২২ কিলোমিটার সড়কপথে তিনটি নদীতে ফেরি পারাপার ছিল চরম ভোগান্তির। সেখানে ফেরির পরিবর্তে সেতু হয়েছে। এ কারণে বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটক-দর্শনার্থীরা বেশি এসেছে। এদিকে পর্যটকের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন স্পটে টহল জোরদার করেছেন।
কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটক সন্দীপ দে বলেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ, তাই কুয়াকাটায় আসা। এর আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছিলাম। তখনকার কুয়াকাটা আর বর্তমান কুয়াকাটা এক নয়। অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।
আশা করি সৈকতের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দিলে কুয়াকাটা আরও বেশি পর্যটকরা আসবে বলে তারা জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘বিশেষ দিনগুলোতে কুয়কাটায় পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। তবে বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি পাশাপাশি হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে। পর্যটক সংশ্লিষ্ট সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোও আগত পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর বদরুল আলম বলেন, ’আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।’