মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্বরন: ধর্ম-কর্ম পুঁজি করে, সুন্দর রমণী চাই, যৌতুক প্রথার চত্রছাঁয়ায়,নিস্পাপ মেয়েটির জীবন চলে যায়!। এই কথাটি কেনো বলছি, জানেন কী? এর কারণ, প্রতিদিনই টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমের কল্যাণে যে, বিষয়টি সবচেয়ে বেশী চোখে পড়ে তা-হলো যৌতুক প্রথার কারণে নারী নির্যাতন। মেয়ের পরিবারের দায়িত্বশীল সদ্যসের আত্মহত্যা,সামান্য কারণে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যৌতুক নিয়ে আবার বিয়ে করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, স্বামী কোনো কিছু না বলে দিনের পর দিন স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে থাকতে বাধ্য করে। এমনকি কিছু পুরুষ স্ত্রীর সম্পত্তির লোভে অলস জীবন কাটায়।
প্রতিবছর যৌতুকের কারণে অসংখ্য নারী শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়, শারীরিক নির্যাতনের পর নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় (যেমনঃ ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে,লাঠি-সোঠা দিয়ে পিটিয়ে,অগ্নিদগ্ধ করে ইত্যাদি) স্বামী কর্তৃক নির্যাতন থেকে স্বেচ্ছায় মুক্তির জন্য মহিলারা আত্মহত্যা করে অথবা ব্যাক্তি জীবনে বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে সিংহভাগই যৌতুক প্রথার শিকার। আমাদের সভ্য সমাজের এক ভয়াবহ অভিশাপ হিসেবে নেমে এসেছে এ অসভ্য যৌতুক প্রথা। নারী জাতির জন্য যে, তা কত ভয়াবহ, পত্র-পত্রিকা,টিভি চ্যানেল ও গণমাধ্যমের প্রচেষ্টায় তা আমাদের চোখে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। যৌতুক প্রথার জন্য অনেক নারী নিজের জীবনকে বলি দিতে বাধ্য হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে যারা একজন নারীকে বিয়ে করতে সম্মত হয়, সেই পুরুষ কোনদিন তার স্ত্রীকে ভালোবাসবে না। পাত্রীর অভিভাবকদের এ কথাটা বুঝা উচিত। কিন্তু অভিভাবকগণ মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অর্থ ও বিরাট পণ্যের বিনিময়ে নিজ নিজ স্নেহস্পদ কন্যাদের তুলে দেন পাত্রের হাতে। এত কিছুর পরেও রঙ্গিন দুনিয়ায় সাদা-কালো ছবির ফ্রেমের মত ভেঙ্গে যায় অনেকের সংসারের সুখ।সারা বিশ্বে অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক এই নগন্য যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম করে গেলেও এ বিষবৃক্ষের মূলোৎপাদন তারা বন্ধ করতে সক্ষম হননি। এটা মানব জীবনের, সভ্য সমাজের এক কালো অধ্যায়।
মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন যাতে সুখে ও স্বাচ্ছন্দ্যের হয় সে কারণে বিয়েতে মেয়ের অভিভাবক পাত্র পক্ষকে ওয়াদাকৃত যে, অর্থ সম্পদ,অলংকার,আসবাবপত্র ইত্যাদি দিয়ে থাকে,তাকেই যৌতুক বলে। আমাদের দেশে মেয়েকে ভালো পাত্রের হাতে তুলে দেওয়ার অভিলাসে সম্পদ দিয়ে পাত্র ও পাত্রের অভিভাবকদের সন্তুষ্ট করা হয়,সমাজে যে, পাত্র যত ভালো সে,তত বেশি যৌতুক প্রাপ্তির দাবিদার হয়ে ওঠে। বিয়ের যোগ্য কন্যার কিছু ত্রুটি বা যোগ্যতার অভাব থাকতে পারে,সে অভাব পূরণ করা হয় যৌতুক হিসেবে দেওয়া অর্থ সম্পদের মাধ্যমে। আবার ভালো ছেলে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন মেয়েকে বিয়ে করে যৌতুকের লোভে। কথায় বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট,আমাদের সমাজকে দারিদ্রতা করেছে বিন্রষ্ট। আমরা শীত পোহাতে শরীরে আকঁড়ে ধরি চাঁদর, আর আত্মীয়তা ও বিয়ে-শাদীতে যৌতুক প্রথাকে করি আঁদর। আমার সাধারণ জ্ঞানে যতটুকু বিভিন্ন ইতিহাস থেকে উপলিদ্ধি করতে পেরেছি, মানুষের অর্থ লালসা থেকে যৌতুক প্রথার সৃষ্টি।
হিন্দু আইনে কন্যারা পৈত্রিক সম্পত্তির অধীকারী হয়না বলে কন্যাকে অর্থাৎ তারা স্বামীকে পুষিয়ে দেওয়ার মানসিকতা ও চিন্তা-ভাবনা থেকে পণ প্রথার সৃষ্টি। প্রাচীনকালে আর্য অনার্য রাজ পরিবারের মধ্যে যৌতুক প্রথা চালু ছিল শুল্কের আকারে। প্রাচীনকালে সরাসরি টাকার অঙ্কে দর কষাকষি করে যৌতুকের পরিমাণ নির্ধারণ করা হত। কিন্তু সমাজ এবং আইনের প্রগতির সাথে সাথে এর ধরণ কিছুটা পরিবর্তিত অবস্থায় বহাল রয়েছে। তবে এর কুফলের কোন পরিবর্তন হয়নি। অথচ যারা যৌতুক গ্রহণ করে ভবিষ্যতে তাদেরকেও নিজ বোন ও কন্যার বিয়েতে একই দাবি পূরণ করতে হয়। তাই এ প্রথা সমাজের জন্য আত্মঘাতী স্বরুপ। আমাদের দেশে নারী নির্যাতনে যৌতুকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এটা হয়তো বুঝতে বাকী নয় যে,যৌতুক দেওয়ার মাধ্যমে নারীকে নগন্য প্রাণী এবং পণ্যে পরিণত করা হয়। এর বিষাক্ত ধ্বংসক্রিয়ায় সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নারী ও পুরুষ উভয়েই হয়তো বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, মানুষ হিসেবে সমাজে নারীকে মর্যাদা দেওয়ার প্রশ্নে যৌতুক এক বিরাট বাঁধা। মানুষের পারষ্পারিক নির্ভরশীলতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে পরিবার ও সমাজ। সমাজের প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে মানব জীবনের এক পবিত্র বন্ধন। কিন্তু বাংলাদেশে বেশির ভাগ নারীর বিয়ের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে যৌতুক। অথচ যৌতুক বিয়ের কোনো শর্ত বা উপাদান নয়। আইনের কোথাও এর স্বীকৃতি নেই। তবুও বিবাহের মত কর্তব্য ও পবিত্র দায়িত্ব পালনে পুরুষের কোন দায় নেই। ইহা একটি সামাজিক অবিচার। এ অবিচারে কত তর-তাজা প্রাণ বাসর ঘরের তাজা ফুল ঝরার আগেই সে ঝরে গিয়েছে তার কোন হিসাব নেই। সরকার এ প্রথা বন্ধের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে।
বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ সংক্রান্ত আইনে যৌতুক নিষিদ্ধকরণ ২ ধারায় যৌতুকের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ এর ২ (ঞ) ধারায়ও যৌতুকের অর্থ বলা হয়েছে। আইন মোতাবেক‘যৌতুক’ অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দিতে সক্ষম হওয়া কোনো সম্পতি বা মূল্যবান জামানত যা একপক্ষ অন্যপক্ষকে বিয়ের আগে বা পরে অথবা বিয়ের সময় দেয়। যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইনে ‘বর’ বা ‘কনে’ যে, কোনো পক্ষ অন্য পক্ষকে যে,সম্পদ দিয়েছে বা দেবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়,তাই যৌতুক হিসেবে গণ্য হয়। ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ‘বরপক্ষ’কর্তৃক কন্যাপক্ষের কাছে দাবিকৃত অর্থ-সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদকেও যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত করেছে যা ১৯৮০ সালের আইনে ছিল না। কিন্তু এর প্রয়োগ তেমন নেই। যেমন সংগতির অভাব শৃঙ্খলাহীনতার লক্ষণ। শৃঙ্খলার অর্থ আত্মনিয়ন্ত্রণ,আত্মত্যাগ,মনঃসংযোগ এবং প্রলোভনকে এড়িয়ে চলা। শৃঙ্খলা অর্থ নির্দিষ্ট লক্ষে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা। বাষ্পকে যদি সংহত করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা না যায় তবে তা ইঞ্জিনকে চলাতে পারে না। নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে কোন জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে না যদি তার স্রোতের শক্তিকে শৃঙ্খলিত করা না যায়। তেমনেই আমাদের সমাজ থেকে যৌতুক লোভী ব্যাক্তিদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে,নারী নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেরে যাবে, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হবে। কচ্ছপ এবং খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি।খরগোশ তার দৌড়াবার ক্ষমতা নিয়ে গর্ব করত এবং কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগীতার আহব্বান জানিয়েছিলো,শেয়াল ছিল দৌড় প্রতিযোগিতার বিচারক। দৌড় শুরু হওয়ার পর খরগোশ দ্রুত দৌড়ে জেতার সম্পর্কে এতই নিশ্চিত ছিল যে, মাঝপথে তার একটু ঘুমিয়ে নেবার ইচ্ছা হল। যখন জাগলো এবং দৌড় প্রতিযোগিতার কথা স্মরণ করে দৌড়াতে শুরু করলো তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। কচ্ছপ তখন প্রতিযোগিতার সমাপ্তির সীমায় পৌঁছে গেছে এবং বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়েছে। কাজেই সংগতি রক্ষাই শৃঙ্খলা এবং সংগতিপূর্ণ কাজ খেয়াল খুশিমতো চেষ্টা করার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যৌতুক প্রথা সমাজ এর শৃঙ্খলা ভঙ্গের মূলকারণ। বর্তমানে আধুনিক যুগেও পুরুষ দ্বারা সারা দেশে যৌতুকের জন্য কমলমতি “নারীর শরীরে পুরুষ শাসিত নির্যাতনের ব্যাথা,বন্ধ করো যৌতুক প্রথা”। এই শিরোনামে আমার লেখা কলামটি পড়ে পুরুষবাদি লোকেরা আমাকে নিয়ে অজ্ঞতা হেতু সমালোচনা করবে,অন্যায্য সমালোচনা করবে। তবে এই ধরণের সমালোচনাকে আমি ছদ্মবেশে প্রসংশা বলেই গ্রহণ করি। অধিকাংশ মানুষই অবশ্য মনে করেন যে, লোকে তাদের প্রশংসা করুক,তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের ক্ষতি হলেও যায় আসে না। কিন্তু আমি মনে করি যে, গাছে বেশি ফল ফলে সেই গাছকেই পাথরের আঘাত সহ্য করতে হয় বেশি। অথাৎ সমাজকে সু-সংগঠিত ও সু-শৃঙ্খল করতে আমরা সবাই একসাথে এক যুগে যৌতুক বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। “যৌতুক প্রথাকে সবাই না বলতে হবে”। যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং নিমর্মতা যে কত ভয়াবহ রকমের হতে পারে, তা হয়ত একটি উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে।
২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফারাশপুর গ্রামে তাসলিমা খাতুন ও তার শিশু কন্যা তাসমিয়া ওরফে তাসনিমকে (১৮ মাস) পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করে তাসলিমা খাতুনেরই স্বামী কামাল। এ হত্যাকান্ড যে কত যন্ত্রণাদায়ক তা সমাজ না বুঝলেও তাসলিমা খাতুনের মা-বাবা মর্মে মর্মে বুঝতে পেরেছে। (ছদ্মনাম) মোঃ শামসউদ্দিন(৫০) সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার সুরিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।(ছদ্মনাম)মোঃ শামসউদ্দিনের অভাবের সংসার,তার ৩ মেয়ে, ১ ছেলে, মেয়েগুলো, ছেলের বড়। (ছদ্মনাম)মোঃ শামসউদ্দিন সংসার চালাতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। সংসারে আয়-উন্নতি করার মত সে ছাড়া অন্য কোনো সদস্য না থাকায় এক পর্যায় ঋণ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হয় সে। তারপর বাধ্য হয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। এখানেও সংসারের দু’একজনের কর্মসংস্থান হলেও বাকীসব বেকার। কিন্তু (ছদ্মনাম) মোঃ শামসউদ্দিনের বড় মেয়ে বিয়ের যোগ্য হওয়ায় আবারো দার-দেনা করে বড় মেয়ের বিয়ে দিতে হলো। এর কিছুদিন পর (ছদ্মনাম) মোঃ শামসউদ্দিনের মেজো মেয়ে (ছদ্মনাম) তাসলিমা (১৯) এর বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসে। মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আবারো বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ এবং ইলেকট্রনিক্রা ও ফার্ণিচারের দোকান থেকে মাসিক কিস্তি বাবদ ৫০,০০০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ইত্যাদি যৌতুক হিসেবে মেয়ের জামাতাকে দেন। দুই মেয়ের বিয়ের পর (ছদ্মনাম) মোঃ শামসউদ্দিনের সংসারে চাকুরীজীবি কোনো সদস্য না থাকায়, এনজিও সংস্থা এবং ইলেকট্রনিক্রা ও ফার্ণিচারে দোকানের দৈনিক ও মাসিক কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়ে গত ৭ অক্টোবর ২০২০ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। এরপর এনজিও সংস্থা এবং ইলেকট্রনিক্রা ও ফার্ণিচারের দোকানের পাওনাদার ব্যাক্তিরা (ছদ্মনাম) মোঃ শামসউদ্দিনকে ভাড়া বাসায় খুঁজে না পেয়ে তার মেয়ে (ছদ্মনাম) তাসলিমার শ্বশুর বাড়ির খোঁজ করেন। (ছদ্মনাম) তাসলিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টা জানাজানির পর থেকে (ছদ্মনাম) তাসলিমার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
এই উদাহরণ গুলো পড়ার পর হয়তো আমাদের আর বুঝতে বাকী রইলো না যে, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি,একটি অসামাজিক নিষ্টুর প্রথা,এটা আজ সুধীমহল অনুভব করতে পেরেছে। নারীরা আজ আর অবলা নয়,তারাও সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র। শিক্ষা-সংস্কৃতি,জ্ঞানে-গুণে তারা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। সুতারাং আর যেনো নারীরা যৌতুক প্রথায় গৃহীত না হয়,লাঞ্ছিত নির্যাতিত না হয়। তাই যৌতুক প্রথা বিলোপ সাধনের জন্য সরকারের কঠোর আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন জরুরী দরকার। এ প্রসঙ্গে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন হওয়াটাও জরুরী। অথাৎ নারীরাও সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টির অংশ, তারাও সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য,আমরা সকলেই নারীর সম্মান রক্ষা করি,যৌতুক প্রথা বন্ধ করি।
লেখক ও কলামিষ্ট, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আমাদের সমাজ।