নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি বহরের একটি গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই দুই আসামি হলেন—ট্রাকচালক মুজিবুর রহমান (৪০) ও তার ছেলে ট্রাকের হেলপার মো. রিফাত মিয়া (১৮)। সম্পর্কে তারা বাবা-ছেলে। তারা ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা।
শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, হাসনাত-সারজিসের গাড়ি বহরের একটি গাড়িতে ট্রাকচাপা দেওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়ক আইনে করা মামলায় চালক মুজিবুর রহমান ও হেলপার রিফাত মিয়াকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। তারা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। পুলিশের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো গাড়ি ছিল। সাইফুলের গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজি রাস্তার মাথা। ওই এলাকায় বহরের গাড়িগুলো গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। প্রথমে ১২টি মোটরসাইকেল ও পাজেরো গাড়িটি মহাসড়কে ওঠে। ওই পাজেরো গাড়িতে হাসনাত-সারজিস ছিলেন। পরে একটি প্রাইভেটকার মহাসড়কে উঠতেই চট্টগ্রামমুখী একটি মালবাহী ট্রাক গাড়িটির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে কারটির সামনের বাঁ দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটিতে হাসনাত-সারজিসের কয়েকজন সফরসঙ্গী ছিলেন। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যেতে চাইলে বহরে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা ধাওয়া দিয়ে চালক ও সহকারীকে আটক করেন। পরে তাদের লোহাগাড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর হাসনাত-সারজিস লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সহকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
পরেরদিন এই ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির ড্রাইভার আহমেদ নেওয়াজ বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন।