নিজস্ব প্রতিবেদক
‘কাজের পাশাপাশি সুন্দর ও সুস্থ থাকতে চাই বিনোদন’ এই স্লোগানে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে শুরু হয়েছিল বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব-২০২৪।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এই উৎসব।
সন্ধ্যায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিশাত তাসনিম শুচি, ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মফিজুর রহমান, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মো. সোহেল রানা প্রমুখ।
দীর্ঘ সময় ধরে বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব সুন্দরভাবে পরিচালনা করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা সবাই মিলে ওয়ালটন পরিবার। আজ দেশে-বিদেশে ওয়ালটন পণ্য ব্যাপক সুনাম অর্জন করছে। ওয়ালটন পণ্যের নিখুঁত ডিজাইন ও গুণগতমান সবার নিকট প্রশংসিত হচ্ছে। এই অর্জনের কৃতিত্ব আপনাদের। আশেপাশের অনেক কারখানায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করলেও খেলাধুলার মাধ্যমে আপনারা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রেখেছেন। আজ আপনাদের মধ্যে খেলাধুলার যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি, তা যেন হারিয়ে না যায়। খেলাধুলার এই উৎসব যেন সারা বছর বজায় থাকে। যখন যে খেলাধুলার মৌসুম, তখন সে ধরনের খেলাধুলা আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, আপনাদের জন্য দেয়া এই মাঠে নিয়মিত শরীরচর্চাও করবেন। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের শরীর এবং মন সতেজ থাকে। বছরজুড়ে আপনাদের মধ্যে খেলাধুলার এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা রইলো।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে সোমবার বিকেলে মাঠে উপস্থিত হয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ উদ্বোধন ও উপভোগ করেন ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব আয়োজনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি ইউসুফ আলী। স্পোর্টস কমিটির সভাপতি ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সোহেল রানা। স্পোর্টস কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মুজাহিদুল ইসলামসহ হাসিবুল ইসলাম ও আপেল মাহমুদ।