পুলিশের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে আসমি কাসেম ব্যাপারীকে (৪৫) ছিনিয়ে নিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগমসহ (৩৫) কয়েকজন নারী। গত শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়ানের বড়শিবা গ্রামে আসামি কাসেম ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এএসআই সুমনসহ পুলিশের তিন সদস্যকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়েছে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা করেন। মরিচের গুড়া ছিটানোর অভিযোগে হাসিনা বেগম নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে গতকাল রোববার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছেন পুলিশ। আর পলাতক এবং ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার সীমানায় সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ওসি জানান, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি কাশেম বেপারী দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার বিকেলে কাশেম বেপারীকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় কাশেমের চিৎকারে বাড়ির নারী-পুরুষরা সবাই জড়ো হয়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মরিচের গুড়া নিয়ে ছুটে এসে হাসিনা বেগম এএসআই সুমনসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় জড়ো হওয়া ১০-১২ জন মিলে পুলিশ সদস্যদের এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় কাশেম সর্তা দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, অন্য অভিযুক্তরা পুলিশ কনস্টবল দিদারুলকে পিটিয়ে টেনে হিচড়ে ই্উনিফর্ম ছিড়ে ফেলে। এতে অন্য কনস্টেবল মাইনুলও আহত হয়। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পেয়ে গলাচিপা থানার ওসি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন এবং গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এএসআই সুমন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
ওসি আরও জানান, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় কাশেমকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক কাশেমকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশের চোখে মরিচের গুড়ি ছিটিয়েছেন যে নারী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাশেম এলাকায় একজন দাঙ্গাবাজ লোক। তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আশা করি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।