নিজস্ব প্রতিবেদক,
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঈদুল আযহার পর ২৩ জুলাই ভোর থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে এই বিধিনিষেধ ভেঙ্গেও বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছেন মানুষ।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে, মানুষজন বিভিন্ন কারণের কথা বলে বের হচ্ছেন। পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরা এবং চায়ের দোকানে আড্ডার চিত্রও দেখা গেছে।
মানুষের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া ঠেকাতে এদিনও সড়কে সড়কে অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পাশপাশি চেকপোস্ট ও টহল অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে আজিমপুর সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলরত যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশের সদস্য জানান, মানুষ নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ কেউ না দেখাতে পারলে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই রাস্তায় বের হয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলছেন। মানুষ নিজে থেকে সচেতন না হলে, এভাবে এলোমেলো চলাফেরা অব্যাহত থাকলে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তবে বিধিনিষেধ নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
আজিমপুরের ইরাকি মাঠ এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা। তিনি বাসায় বসে কাজ করছেন। রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কেনাকাটা আছে। তাই বের হতে হয়েছে।
আবুল কালাম নামের আরেক লোক বলেন, সারাদিন বাসায় বসে থাকতে বিরক্ত লাগে। চায়ের জন্য নিচে নামলাম। এভাবে আর কতদিন বসে থাকবো। দরকার হলে রাস্তায় তো বের হতেই হবে।
মোহাম্মদ কাফি নামের একজন এই প্রতিবেদককে বললেন, কিছু মানুষ বাসায় থাকবে। আর কিছু মানুষ ঘুরে বেড়াবে। এভাবে কি করোনা ঠেকানো যাবে? সরকার ঈদে বাড়ি যেতে দিল। এখন আবার নাকি কঠোর লকডাউন! করোনা কি কিছুদিন থাকে, আর কিছুদিন থাকে না এমন কিছু কি?
বিএসডি/এমএম