আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শত শত বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল মঞ্জুরি ও ঋণ আটকে দেওয়ার যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটি কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছেন দেশটির একজন বিচারক। বিচারক লরেন আলি খান আগামী সোমবার পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এর আগে মঞ্জুরি পাচ্ছিলেন এমন ব্যক্তিদের বিভিন্ন সংগঠন এই বিষয়ে মামলা করে। মামলায় বলা হয়, ইতোমধ্যে অনুমোদন হওয়া তহবিল সাময়িকভাবে স্থগিত করার মাধ্যমে হোয়াইট হাউস আইন লঙ্ঘন করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আদালত এই আদেশ জারি করেছে। যদিও প্রেসিডেন্টের আদেশ কোন কোন সংস্থা বা কর্মসূচির ওপর প্রযোজ্য হবে তা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছিল।
ফেডারেল আর্থিক সহায়তার অর্থ বিতরণ বা এ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার জন্য হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, মঞ্জুরি ও ঋণের বিষয়গুলো নিয়ে নতুন প্রশাসনের পর্যালোচনার জন্য তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন স্থগিত করার বিষয়টি হল ট্যাক্স ডলারের ভালো রক্ষণাবেক্ষণ। সাংবাদিকদের সঙ্গে তার প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, অর্থায়ন স্থগিত করার কারণে সরকার জেন্ডার ইস্যু বা ডাইভারসিটি কর্মসূচিগুলোর খরচ কমানোর বিষয়টি দেখতে পারবে।
তবে এটা একদিকে যেমন বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, আবার অনেককে ক্ষুব্ধও করেছে। যারা এ ধরনের মঞ্জুরি ও ঋণ পায় এমন অলাভজনক ও গবেষণা সংস্থাগুলোকে দ্রুত তহবিল হারানোর বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিচারক আলি খান মঙ্গলবার একটি স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। হোয়াইট হাউসের নির্দেশনা কয়েক বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল সরকারের কর্মসূচির ওপর প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা থেকে শুরু করে ক্যানসার বিষয়ে গবেষণাও আছে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটসের প্রেসিডেন্ট ডিয়ানে ইয়েনটেল সামাজিক মাধ্যম এক্সে আদালতের আদেশে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের মামলা সফল হয়েছে। আদালত ফেডারেল অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছেন।’’