আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাস বর্বরতা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এই বর্বরতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হয়েছে। এরমধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রও। সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী— সবাই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। বিশেষ করে দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
যেসব প্রবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এসব সভা-সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ এ ব্যাপারে বলেছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থী যারা ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।”
এই আদেশের একটি খসড়ায় দেখা গেছে, ট্রাম্প বিচারবিভাগকে নির্দেশ দেবেন— মার্কিন ইহুদিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীমূলক হুমকি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও সহিংসতাকারীদের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
খসড়ায় ট্রাম্প প্রবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “সে সকল প্রবাসীদের বলছি, আপনারা যারা জিহাদপন্থি (ফিলিস্তিন) আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আমরা আপনাদের নজরদারিতে রেখেছি। আমরা আপনাদের খুঁজে বের করব এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠাব। এছাড়া ক্যাম্পাসে হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখানো সকল বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করব। ক্যাম্পাসগুলোর আন্দোলন উগ্রবাদীদের দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়েছিল।”
ট্রাম্প এমন দাবি করলেও গত মে মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ক্যাম্পাসে যেসব ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন হয়েছে তার ৯৭ শতাংশই শান্তিপূর্ণ ছিল।
অনেক আন্দোলনকারী বলেছেন, ইসরায়েলের সমালোচনা ও ইহুদিবিদ্বেষকে একইভাবে প্রচার করা একটি কূট কৌশল। এরমাধ্যমে মূলত স্বাধীন ফিলিস্তিনপন্থিদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: আলজাজিরা