নিজস্ব প্রতিবেদক
বিডিআর সাবেক সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে তাফসির মাহফিলে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই মাহফিল আয়োজন করে ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ। শুক্রবার পঞ্চম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, বিডিআর সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। তাদের কেউ ৬ মাসের মেয়েকে রেখে জেলে গিয়েছিলেন। বের হয়ে দেখেন এই মেয়ে বর্তমানে ১৭ বছর বয়সী হয়ে গেছে। এই মেয়ের শৈশব তার বাবা দেখেনি, কৈশোর দেখেনি এবং তারুণ্য দেখেনি। বর্তমানে মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে অন্যায় দেখতে চাই না। প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না। একদল আরেকদলকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি করুক, আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা সুশাসনের বাংলাদেশ চাই এবং মানবিক বাংলাদেশ চাই।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে আজহারী বলেন, উন্নয়নের নামে পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা নেই, চুরি করেছে। ইসলাম শরীয়াহ মোতাবেক চুরির শাস্তি হচ্ছে প্রকাশ্যে হাত কেটে দেওয়া। তাদের হাত কেটে দেওয়া উচিত।
২৯ বছর আগে থেকে প্যারেড ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে আসছে ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ। ৫ দিনব্যাপী এ আয়োজনে উপস্থিত থাকতেন প্রয়াত ইসলামি চিন্তাবিদ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। তার উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হতো পুরো প্যারেড ময়দান। বাঁধা কাটিয়ে ১৮ বছর পর সাঈদীর স্মৃতিবিজড়িত সেই মাঠে শুরু হয় ঐতিহাসিক সেই তাফসির মাহফিল।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ বছরের তাফসির মাহফিল শুরু হয়। প্রথম দিনে প্রধান আলোচনা পেশ করেছিলেন মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন।
আজহারী বয়ান শুনতে শুক্রবার সকাল থেকে প্যারেড ময়দানের দিকে জনতার ঢল নামে। এদিন প্যারেড ময়দান এলাকায় জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আসরের আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাগরিবের পর প্যারেড ময়দানে আর তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এরপর লোকজন প্যারেড ময়দান সংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অঁলিখা মোড় থেকে গণি বেকারীর মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।