স্পোর্টস ডেস্ক
ইংল্যান্ড বনাম ভারতের মধ্যকার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আচমকা উঠে এসেছিল ‘কনকাশন সাব’ বিতর্ক। সিরিজ শেষ হয়ে গেছে, অথচ এখনও এই আলোচনা থামছে না। ভারতের এমন পরিবর্তন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। এমনকি ম্যাচ শেষে এই ইস্যুতে অ্যালিস্টার কুক, কেভিন পিটারসেনসহ ইংল্যান্ডের সাবেকরাও ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
পাল্টা বক্তব্য দিয়েছিলেন ভারতের বোলিং কোচ মরনে মর্কেলও। এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। ঘটনাটি অবশ্য গত শুক্রবারের। ভারত-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ।
পুণেতে প্রথমে ব্যাট করেছিল ভারত। সেখানে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শিবাম দুবে। শেষ ওভারে তার হেলমেটে একটি বাউন্সার আছড়ে পড়ে। চোট পরীক্ষার পর খেলা চালানোর অনুমতিও মেলে। কিন্তু পরে শিবামের পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় হর্ষিতকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ‘কনকাশন সাব’-এর ক্ষেত্রে দুই ক্রিকেটারকে সমতুল্য হতে হবে। কিন্তু রানা এবং শিবাম সমতুল্য নয় বলেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তবে ভারতের বোলিং কোচ মরনে মর্কেল বলেছিলেন, ম্যাচ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর তাতেই চটেছেন সাবেক ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। ৬২২টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। সেই ইংরেজ রেফারি এবার তীব্র আক্রমণ করলেন ভারতের রেফারি জাভাগল শ্রীনাথকে। তিনিই ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের রেফারি ছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় ক্রিস ব্রড লিখেছেন, ‘একজন স্বাধীন ম্যাচ রেফারিকে এই সব দায়িত্বে আনা উচিত। আইসিসি আবার কেন সেই পুরনো দিনের পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতিগ্রস্থ পদ্ধতিতে ফিরছে?’
‘কনকাশন সাব’-এ হার্ষিতের নামা নিয়ে বিরোধিতায় মুখর হয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন। তার মন্তব্যকে সমর্থন করে ব্রড আরও লেখেন, “একজন ভারতীয় ম্যাচ রেফারি ভারতের পরিবর্তনকে সমর্থন করেও পার পেয়ে যান। এই ধরনের পক্ষপাতিত্ব এড়ানোর জন্য স্বাধীন ম্যাচ রেফারি দরকার।”
এদিকে, রেফারির সিদ্ধান্তকে অন্যায় বলে সরব হয়েছেন সুনীল গাভাস্কারও। কানকাশন সাব ইস্যুতে এবার ভারতকে ধুয়ে দিলেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। ভারতের এই কিংবদন্তি টেলিগ্রাফ কলামে লিখেছেন, ‘পুণের ম্যাচে শিবম শেষ পর্যন্ত ব্যাট করল। ওর হেলমেটে বল লাগার পরেও উঠে গেল না। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে তার কনকাশন হয়নি। তবুও কীভাবে ওর কনকাশন পরিবর্ত নামানো যায়?’
তিনি বলেন, ‘শিবম যদি সঙ্গে সঙ্গে উঠে যেত, তা হলে বিষয়টা মানা যেত। ওর কনকাশনের ইস্যু করে আরেকজনকে নামানোর সিদ্ধান্তই ভুল। যদি তাঁর পেশিতে টান লাগত, তা হলে ওর পরিবর্ত কাউকে নামানো যেত। তবে সে শুধু ফিল্ডিং করত। বল নয়।’
গাভাস্কার মনে করেন, ভারত আইসিসির নিয়ম মানেনি। বরং ইংল্যান্ডের সাথে ভারত অন্যায় করে ম্যাচ জিতেছে। তিনি বলেন, ‘শিবম ও হর্ষিতের মধ্যে একমাত্র দৈহিক উচ্চতা ও ফিল্ডিংয়ের মান ছাড়া কোনো মিল নেই। যা আইসিসির নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইংল্যান্ডের তো খারাপ লাগবেই। ওদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’