নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) বুক কর্নার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এই বুক কর্নার গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইফার সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের ২২৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইফার এ বুক কর্নারে থাকবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সিরাতুন নবী, তাফসির, ফিকাহ শাস্ত্র, হাদিস গ্রন্থ, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী, নারীর অধিকার, মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বই-পুস্তক। এ বুক কর্নার স্থাপনের ফলে ইফার বইয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় বই পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব জমি আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের ১০টি জেলায় ইফার অব্যবহৃত ১৭১ শতক জমি এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। জেলাগুলো হলো- সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বান্দরবন, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনওয়াবগঞ্জ, ভোলা ও পঞ্চগড়। এ সকল জেলার ইফার অব্যবহৃত জমি আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচির আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজকের সভায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যদের সম্মানী যৌক্তিকীকরণ, ইফা প্রকাশিত বইয়ের তালিকা প্রকাশ ও ইফার বিভিন্ন পদে পদোন্নতিবঞ্চিতদের বিষয়ে করণীয়সহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
এ সভায় বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবেরী, চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ঢাকার জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও পটুয়াখালীর ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক উপস্থিত ছিলেন।