নিজস্ব প্রতিবেদক| বর্তমান সময়
বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বর। পথে এসে দেখেন বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। জোয়ারে ভেঙে নিয়ে গেছে রাস্তা। ওই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বরযাত্রীরা। তাৎক্ষণিক নৌকা কিংবা ভেলার ব্যবস্থা করা যায়নি। এ সময় বিকল্প উপায় না থাকায় নববধূকে ভাঙা রাস্তার কোমরপানিতে শ্বশুরের কোলে চড়ে পার হতে হয়। এর পর হাঁটুপানিতে ডুবে থাকা বাকি পথ বরের কোলে চেপেই যেতে হয় শ্বশুরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর চরমার্টিন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। সোমবার কোলে চড়ে নববধূ ভাঙা রাস্তা পারাপারের ছবি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, চরমার্টিন ইউনিয়নের মো. হারুনের ছেলে মো. রমিজের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কালকিনি ইউনিয়নের আবদুল মতিনের মেয়ে জান্নাত বেগমের বিয়ে হয় শুক্রবার দুপুরে। বিকালে অটোরিকশায় নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এসে দেখেন রাস্তা নেই।
জোয়ারের তোড়ে রাস্তা ভেঙে গেছে। রাস্তার ভাঙা অংশে কোমরপানি। বাকি পথ ডুবে আছে হাঁটুপানিতে। এমন পরিস্থিতিতে শ্বশুর ও স্বামীর কোলে চড়েই নববধূকে শ্বশুরবাড়ি যেতে হয়েছে।
শ্বশুর মো. হারুন জানান, ছেলের বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দেখি, জোয়ারের তোড়ে রাস্তা ভেঙে কোমরপানি। পানিতে তলিয়ে গেছে বাকি পথ। বাড়ির উঠানেও পানি উঠেছে; যে কারণে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। যে কারণে জোয়ার এলেই ডুবে যায় বিস্তীর্ণ জনপদ। পূর্ণিমার প্রভাবে ২৩ জুলাই থেকে অস্বাভাবিক জোয়ার দেখা দেয়। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বেড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, কয়েক দফা জোয়ারে চরমার্টিন এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুটি রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে জোয়ারে রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয় গেলে আগামীতে এই গ্রামের সঙ্গে কেউ আত্মীয়তা করবে না বলে আশঙ্কা করছেন এই জনপ্রতিনিধি।
বিএসডি/আইপি