নিজস্ব প্রতিনিধি,
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার মাধ্যমেই একটি জাতির উন্নতি সম্ভব। কিন্তু বর্তমান সময়েও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আগামী দিনের এই কারিগররা। অস্বচ্ছল, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পটুয়াখালী জেলার “গ্রাম পাঠশালা” নামক বিদ্যালয়টি।
২০১৮ সালে “রংধনু স্কুল” নামে যাত্রা শুরু হয়েছিল গ্রাম পাঠশালা। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ‘কাজী মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ নামক একজন যুবক। তার ব্যক্তিগত আয় এবং বিভিন্ন অনুদানকারীর সহায়তায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে বিদ্যালয়টিতে।সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষা সামগ্রীও প্রদান করা হয় বিদ্যালয় থেকে। পটুয়াখালী জেলায় স্থাপিত বিদ্যালয়টির দুটি শাখায় প্রায় ৮০ জন শিশু প্রাক থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকজন বেতনভুক্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদান করানো হয়। গ্রাম পাঠশালা সম্পর্কে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা জনাব কাজী মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি। সাধারণ পর্যায়ে শিক্ষাদান ছাড়াও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় একটি মক্তব রয়েছে। বর্তমানে বিনামূল্যে শিক্ষাদান, খাদ্য সহায়তা এবং সাবলম্বী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে।” শুধু পড়াশোনাই নয়, অস্বচ্ছল এই শিশুদের দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তা, তাদের পরিবারকে ত্রান সামগ্রী প্রদান করা হয় গ্রাম পাঠশালা থেকে।পাঠশালায় অধ্যয়নরত লামিয়ার বাবা বলেন, ” আমি একজন ফেরিওয়ালা এবং আমার স্ত্রী গৃহকর্মী, সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে মেয়ের পড়াশুনা করানো আমার পক্ষে কষ্টকর। গ্রাম পাঠশালা আমার মেয়েকে বিনামূল্যে পড়াশোনা করাচ্ছে।এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে।” গ্রাম পাঠশালা কর্তৃক এই কার্যক্রম মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এসকল কাজ অনুপ্রেরণা জোগাক আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। সর্বস্তরের মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিক আমাদের আগামীর কর্ণধারকে সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে।
বিএসডি/এমএম