নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কার্যকর কর আরোপের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আহছানিয়া মিশন আয়োজিত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কার্যকর কর আরোপের দাবি শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, ইয়ুথ ফোরামের সদস্য এএফএম সাদমান সাকিব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দাম কাছাকাছি হওয়ায় দাম বাড়লেও মধ্যম থেকে নিম্নস্তরের সিগারেট সেবনের প্রবণতা বাড়ে, তবে দুই স্তরকে একত্র করে দাম বাড়ালে সেই সেবনের প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণের তামাকজনিত অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি ক্যান্সার রোগী আছে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ ক্যান্সারের জন্য সরাসরি দায়ী হলো তামাক। তামাকসহ সব স্বাস্থ্য ক্ষতিকর পণ্যের জন্য সিন ট্যাক্স প্রচলন ও তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যয় করার প্রস্তাবনা, কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আশু সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। তামাক হ্রাসে যা যা করণীয় তার সবই সরকারের করা উচিত।
সুশান্ত সিনহা বলেন, কর বাড়িয়ে তামাক পণ্যের মূল্য বাড়ালে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্যদিকে কোম্পানির লভ্যাংশ কমবে। কেননা করের টাকা পুরোটাই সরকারের কোষাগারে জমা হবে। কর বৃদ্ধি পেলে চোরাচালান বাড়বে মর্মে তামাক কোম্পানির মিথ্যাচারের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সিগারেট সবচেয়ে সস্তা।
বক্তব্যে শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, সিগারেট বা তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণের চেয়ে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে বেশি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার। তামাকপণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যয়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ। এমনকি কার্যকর করারোপের মাধ্যমে সিগারেট বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ১১ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।