নিজস্ব প্রতিবেদক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মো. রাশেদুল ইসলাম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এপ্রোন (র্যাম্প) এলাকায় নির্ধারিত প্রতিরক্ষা পোশাক ছাড়াই প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রাউন্ড স্টাফদের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি উচ্চ-দৃশ্যমান ফ্লুরোসেন্ট জ্যাকেট পরিধান না করেই বিমান চলাচল এলাকায় প্রবেশ করেন, যা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এভিয়েশন নিরাপত্তা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, সক্রিয় এপ্রোনে প্রবেশ করতে হলে উচ্চ-দৃশ্যমান নিরাপত্তা জ্যাকেট ও নিরাপদ জুতা পরিধান বাধ্যতামূলক। বিমান পরিচালক সাধারণ পোশাকে এপ্রোন (র্যাম্প) এলাকায় প্রবেশ করেন, যা নিজের জীবনসহ অন্যদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি এবং সিভিল এভিয়েশন আইন ১৯৮৪ এর চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন রুলস ১৯৮৪ অনুযায়ী সক্রিয় বা মোভমেন্ট এরিয়ায় কাজ করার সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ পরিধান করা বাধ্যতামূলক। কোন ব্যক্তি নির্ধারিত নিরাপত্তা পোশাক ছাড়া বিমানবন্দরেরর র্যাম্প অপারেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। সূত্র জানায়, সাধারণ পোশাক পরিধান করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মো. রাশেদুল ইসলাম এই আইন লঙ্ঘন করেছেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৯/১১-এর পর বিশ্বে র্যাম্প নিরাপত্তা হলো জীবন রক্ষার অংশ। কেউ যখন নিয়ম ভাঙে, বিশেষ করে শীর্ষ কর্মকর্তা, তখন পুরো সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার দ্বারা এমন আচরণে বিমানের নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। যেখানে সামান্য গ্রাউন্ড স্টাফরাও নিরাপত্তা গাফিলতির জন্য শাস্তির মুখোমুখি হন, সেখানে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট