নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁওয়ে ভাড়ায় চালিত গাড়িতে প্রেসের স্টিকার ব্যবহার করায় একটি প্রাইভেটকারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু প্রাইভেটকার নয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস না থাকায় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক গাগলু, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা ও দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের আটগ্যালারী মোড়ে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে ঢাকাগামী বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, ও মাইক্রোবাসগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশ ঢাকাপোস্টকে জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস থামিয়ে গাড়ির লকারসহ ভেতরে-বাইরে তল্লাশি ও গাড়ির ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা তা চেক করা হয়। ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ঢাকাগামী কয়েকটি বাসের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে ঢাকা উদ্দেশে যাওয়া প্রেস স্টিকার ব্যবহার করা একটি প্রাইভেটকারকে থামিয়ে কোন মিডিয়ায় কাজ করে জিজ্ঞাসা করা হলে গাড়িচালক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। সেইসঙ্গে গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল না। অসৎভাবে প্রেসের স্টিকার ব্যবহার ও গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চেকপোস্ট শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী আনসার ও পুলিশসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।
ফিটনেস, গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা তা চেক হচ্ছে। এরই মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের ছাদের ওপরে যাত্রী বহন করায় মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। প্রেস স্টিকার লেখা ব্যবহার করে চলছিল এক প্রাইভেটকার তাকে আটক করা হলে সে কোন পত্রিকায় কাজ করে তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে জরিমানা।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।