নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীদের অনশন আন্দোলন কমিটির সভাপতি সংগীতা সরকার। তিনি বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি, সরকারকে বিব্রত বা ব্ল্যাকমেইল করার প্রশ্নই ওঠে না।
সোমবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিজেদের দুই দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পালিত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২৭তম দিনে এ কথা বলেন তিনি।
গত ১৯ জুন রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার সম্মেলন কক্ষে তথ্য আপা প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনাকালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ মন্তব্য করেন, তোমরা যে সরকারের থেকে এত সাহায্য চাইছো, সেই সরকারকে বিব্রত করা থেকে শুরু করে, কোণঠাসা করা, ব্ল্যাকমেইল করা— সবই করছো। এটাকে বলে ব্ল্যাকমেইল।
এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংগীতা সরকার বলেন, আমরা ওই মিটিংয়ে গিয়েছিলাম আমাদের দুটি দাবি নিয়ে। সেখানে দুইজন কর্মজীবী মা তাদের সন্তান নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তাদের সন্তানদের বাসায় রেখে আসার মতো অবস্থা নেই। একজন মা তার বাচ্চা নিয়ে কোথাও গেলে সেটা কি ব্ল্যাকমেইল হয়ে যায়? আমরা যারা পড়ালেখা করে, প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে এসেছি, তারা তো কাজ চাইবই। চাকরি করব না কেন?
তিনি আরও বলেন, তথ্য আপা প্রকল্প বাংলাদেশের একমাত্র প্রকল্প, যেখানে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নারী এবং তাদের কাজ নারীদের নিয়ে। এতগুলো নারীকে কোনো কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে বাদ দিলে গ্রামগঞ্জের নারীরা, যারা আমাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়, তারা আর এগিয়ে আসবে না। এতে নারী সমাজ ডিমোটিভেট হয়ে যাবে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ১৯ জুনের বৈঠকে তাদের একটি দাবি উপদেষ্টা শুনলেও দ্বিতীয় দাবিটি তিনি উপেক্ষা করেন। তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
তাদের দুই দফা দাবি হলো— পদ সৃষ্টি করে কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কর্তন করা বেতন ও অন্যান্য ভাতা ফেরত দেওয়া।
গত ২৭ মে থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা।