বিনোদন ডেস্ক-
চলচ্চিত্রে অমিত হাসানের শুরুটা হয়েছিল নায়কের ভূমিকায়। খ্যাতিও পেয়েছিলেন। এখন নিয়মিত খল চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন চার শতাধিক চলচ্চিত্রে। উপহার দিয়েছেন ব্যাবসা সফল সিনেমা। কিন্তু তার ভাগ্যে এখনো জোটেনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার৷ এ জন্য আক্ষেপ করেছেন এই অভিনেতা। বিষয়টিকে ‘পোড়া কপাল’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অমিত হাসান আক্ষেপ করে বলেন,’চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রত্যেকটা শিল্পীর স্বপ্ন থাকে এই পুরস্কার প্রাপ্তির। ক্যারিয়ারে এতগুলো ভালো সিনেমা উপহার দিয়েও চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম না।’
তিনি আরো বলেন,’নেতিবাচক চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘এইতো প্রেম, ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’, ‘পদ্ম পাতার জল’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’। আবার ইতিবাচক চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘শেষ ঠিকানা’ ইত্যাদি। এমন অনেক সিনেমা আছে পুরস্কার পাওয়ার মতো কিন্তু এখনও পাইনি। মাঝে মাঝে খুব আক্ষেপ হয়। কাউকে দায়ী করছি না। আমারই দুর্ভাগ্য। দেখা গেছে, আমার সমসাময়িক অনেকেই জুরি বোর্ডের সদস্য হচ্ছেন, সরকারি অনুদান পাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই পেলাম না।’
১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অমিত হাসানের। একক নায়ক হিসেবে মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন। শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ সিনেমার মাধ্যমে খলনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই অভিনেতার। এ ছাড়া অনিয়মিতভাবে শতাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন অমিত হাসান। এই অভিনেতার হাতে রয়েছে ‘সীমানা’, ‘ইয়েস ম্যাডাম’, ‘মাসুদ রানা’ ও ‘যন্ত্রণা’সহ কয়েকটি সিনেমার কাজ।
বিএসডি/এমএম