নিজস্ব প্রতিবেদক
মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর ও শিবালয়) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে দুর্জয়কে আদালতে পাঠায় মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি হুমায়ন কবির। আসামিপক্ষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বাদশাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।
এর আগে গতকাল বুধবার (২ জুলাই) রাতে ঢাকার লালমাটিয়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে মানিকগঞ্জের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে মানিকগঞ্জে আনার পরে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। পরে আজকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর থানা পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. সাদিকুল ইসলাম রাব্বি বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ নম্বর আসামি হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়। মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯০৮-এর ৩(ক) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ৩২৩, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া একই দিনে দৌলতপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলা নম্বর ১ এ দুর্জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩ ও ৪ ধারার পাশাপাশি দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৪, ৩২৬, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অবশেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার লালমাটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে মানিকগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও দৌলতপুর ও শিবালয় থানায় সাবেক এমপি দুর্জয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে মামলাগুলোর শুনানি হবে।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, সাবেক এমপি দুর্জয়ের বিরুদ্ধে সদর থানায় দায়ের করা মামলায় আজকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক চার দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।