নিজস্ব প্রতিবেদক,
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বসেছে ঝিটকার হাট। হাটে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও চরাঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষের আগমন ঘটেছে। মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি, অনেকের মুখে নেই মাস্ক। ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই বসেছে এই হাট। মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের সূত্র মতে, গত ৭দিনে হরিরামপুর উপজেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৭ জনের। এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪২৯ জনের। এ অবস্থায় হাট বসায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, সরকার লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এখানে প্রশাসনের যারা এটাকে বাস্তবায়ন করবে তাদের উচিৎ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে সংক্রমণ ঠেকানোর। এছাড়া ভারতে যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছিল সেটাকে শুধুমাত্র লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। তাই হাটে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটে গাদাগাদি করছে ক্রেতা-বিক্রেতা। অধিকাংশ মানুষের মুখেই ছিলো না মাস্ক। আবার কারো কারো মাস্ক ছিল থুতনিতে ও পকেটে। এছাড়া হাট উপলক্ষে ঝিটকা বাজারের মার্কেটসহ প্রায় সকল দোকানই ছিল খোলা।
উপজেলার গালা ইউনিয়নের ঝিটকা মধ্যপাড়া থেকে আসা ফল বিক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মাস্ক তো ভুলে রাইখা আসছি।’ এছাড়া হাটে ডিটারজেন্ট বিক্রি করতে আসা তুহিন জানান, ‘মাস্ক আছে পকেটে। লোকজন ডেকে ডেকে ডিটারজেন্ট বিক্রি করতে হয় বলে মাস্ক পরিনি।’
পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলা থেকে ঝিটকা হাটে আসা আব্দুর রাজ্জাক ও রহিম খান বলেন, বাজার করার দরকার তাই আসছি। মাস্ক পড়েননি কেন জিগ্যেস করলে একজন পকেট থেকে মাস্ক বের করে পড়লেও অপরজন জানান, হাট করা শেষ। এখন চলে যামু, তাই মাস্ক কিনি নাই।
উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল সেলিমপুর, লেছড়াগঞ্জ, নটাখোলা, হরিহরদিয়া, হালুয়াঘাট থেকে ছোট বড় অন্তত ৩০টি ট্রলার যাত্রীভর্তি করে হাটে এসেছে। প্রতিটি ট্রলারে ১০০-২০০ জন মানুষ এসেছে বলে জানান ট্রলার চালকেরা।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি একটু আগে শুনেছি হাটের অবস্থা নাকি ভয়াবহ। আমি দেখছি কি করা যায়।
বিএসডি/আইপি