নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইসলামের বিজয়। ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রত্যেক সদস্যকে নিজের পড়ার টেবিলকেও আন্দোলনের ময়দান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ষাণ্মাসিক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ও সেক্রেটারিয়েট পুনর্গঠিত হয়েছে। এর সমাপনী দিনে এ কথা বলেন তিনি।
১৬ ও ১৭ জুলাই দুইদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের ২য় সাধারণ অধিবেশনে এ কমিটি পুনর্গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জুলাই বিপ্লবের শহীদ শাকিল পারভেজের পিতা বেলায়েত হোসেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ছাত্রশিবির সভাপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জুলাই বর্ষপূর্তিতে জুলাই সনদ, গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
এরপর সংবিধান অনুযায়ী সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের উপনির্বাচনের (ষাণ্মাসিক) ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ১০ জন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
সংবিধানের আলোকে পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় সভাপতি একজনকে কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত ও মনোনীত সব সদস্যকে সাংবিধানিক শপথ পাঠ করান।
পরবর্তীতে তিনি পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট পুনর্গঠন করেন। এতে ৩০ জন বিভিন্ন বিভাগের সেক্রেটারিয়েট সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কেন্দ্র ও শাখা মিলিয়ে সর্বমোট ৬১ জন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ও মনোনীত হন।
সমাপনী সেশনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সর্বস্তরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও আদর্শিক জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক সদস্যকে নিজের পড়ার টেবিলকেও আন্দোলনের ময়দান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পর্দা, তাকওয়া, নৈতিকতা ও আমানতদারিতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইসলামের বিজয়। ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে শহীদদের স্বপ্নের আলোকে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মঞ্জুরুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ।