অদক্ষ মানুষকে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব দিতে চান না বলে জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে, দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রে বন্দর, নদী, সমুদ্রকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেবে। কিন্তু বিনা অভিজ্ঞতায় চাকরি হবে না। দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। অদক্ষ মানুষকে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব দিতে চাই না। চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সড়কগুলো উন্নয়নে ব্যবস্থা নেবে। বন্দরের কোভিড হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হবে। বন্দর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আলোচনা হয়েছে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করছি। বন্দর চালু রাখতে গেলে ড্রেজিং করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর চালু আছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকের সভায় বন্দরের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পোর্ট লিমিট বাড়ানো হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে। বন্দর স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৫৮ থেকে ৩০ এ আনার লক্ষ্যে কাজ করছি।
একটি নেতিবাচক সংবাদ মানুষকে হতাশ করে। মানুষ এখন আশাবাদী। এখন নিয়োগের ক্ষেত্রে জাল করে ধরা পড়ে। আগে নিয়োগ হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, বে-টার্মিনালে অনেক আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারী আছে। সমঝোতা হলে চূড়ান্ত হবে।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নৌসচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, উপদেষ্টা কমিটির সভায় বন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডক সরানো, অফডকের বিভিন্ন সেবার বিল কমানো, বন্দরের নিলাম ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম জোরদার করা, যানজট, বন্দরের বিশেষায়িত হাসপাতাল, টোল রোড, বন্দরের স্টেক হোল্ডার ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রস্তাবনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।