আইন আদালত ডেস্ক,
অনলাইন প্লাটফর্মে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক গেম মনিটরিং করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
এদিকে মাগুরায় চাঞ্চল্যকর কিশোর মো. গোলাম রাসুলকে এই গেম খেলা নিয়ে তার বন্ধু ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘মাগুরার ঘটনাটি সিআইডির দৃষ্টিগোচর হলে এলআইসি শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১৮ আগস্ট নরসিংদী সদর থেকে রসূল হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর সজীব মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ফ্রি ফায়ার, পাবজি খেলার একাউন্ট হ্যাকিং নিয়ে মাগুরা সদর বেরইল-পলিতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়ার সঙ্গে রসুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে গত ২৭ জুলাই রাত পৌনে ৮টায় একই গ্রামের নুর আলমের বাড়ির সামনে রসূলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সজীব।
মুক্তাধর বলেন, ‘পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর সব গেমগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরানো ও বন্ধ করতে সিআইডি সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া এসব ঘটনা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বেশি দরকার। অভিভাবকের প্রতি অনুরোধ সন্তানরা যেন ক্ষতিকর এসব গেমে আসক্ত না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভারতে ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও হাইকোর্ট একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। হয়তো শিগগিরই ক্ষতিকারক এসব গেম বন্ধে আরও বেশি কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে পাপজি ও ফ্রি ফায়ারসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গেমগুলো চালানো হচ্ছে। ক্ষতিকারক এসব গেমের ভয়াবহতা তুলে ধরে গণমাধ্যমগুলো ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই রাতে মাগুরা সদরে ওই ঘটনায় গুরুতর জখম রসুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। রসূল স্থানীয় আলহাজ্ব কাজী আবদুল ওয়াহেদ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বিএসডি/আইপি