নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় প্রেমিকের ওপর অভিমানে নাহিদা আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর পর প্রেমিক জাকারিয়াও হাসপাতালের চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বর্তমানে জাকারিয়া গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে সন্ধ্যায় একই হাসপাতালে মারা যায় তার প্রেমিকা নাহিদা। এরপরই শজিমেক হাসপাতালে চারতলা থেকে নিচে লাফ দেন জাকারিয়া।
মৃত নাহিদা বগুড়া বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের আখতার হোসেন বাবুর মেয়ে। বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ার সানজিদা নামে একটি ছাত্রীনিবাসে থেকে নাহিদা পড়াশোনা করতেন। আর আহত জাকারিয়ার বাড়ি কুষ্টিয়ার দহগ্রামে। তার বাবার নাম রুহুল আমিন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শামীম হোসেন।
এসআই শামীম বলেন, রোববার কুষ্টিয়া থেকে জাকারিয়া বগুড়ায় নাহিদার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ঘোরাফেরার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে নাহিদা ছাত্রীনিবাসে ফিরে গিয়ে বিকেলে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে অন্যান্য ছাত্রীরা ও প্রেমিক জাকারিয়া তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে নাহিদা মারা যান। নাহিদার মৃত্যুর কিছুক্ষণ পর জাকারিয়া শজিমেক হাসপাতালের চারতলায় উঠে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিচে লাফিয়ে পড়েন। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সদর থানার এসআই ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নাহিদার লাশ শজিমেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, নাহিদা ও জাকারিয়ার মধ্যে কী ঘটেছিল তা এখনো জানা যায়নি। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বিএসডি / আইপি