নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান সফল করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রপ্তানিতে।
কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অংশও অর্জিত হয়নি। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি রুপির অস্ত্র রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সময়সীমার এক বছর আগ পর্যন্ত (২০২৪ সালের মার্চ) বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার কোটি রুপির।
অর্থাৎ ২০২০ সালে মোদি সরকার ঘোষিত ‘প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি নীতি’ (ডিপিইপিপি)-তে ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।
কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, ২০২০ সালে ঘোষিত ডিপিইপিপি-তে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি রুপির (তৎকালীন হিসাবে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার) অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২১ হাজার ৮৩ কোটি রুপির অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করছে ভারত। অর্থাৎ ঘাটতি প্রায় ১৪ হাজার কোটি রুপির! যা পূরণ করতে হবে আগামী এক বছরের মধ্যে!
আবার পাঁচ বছরের এই সময়সীমার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির অংক হিসাব করলে ৫০০ কোটি ডলার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৩ হাজার কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না হলেও গত পাঁচ বছরে ভারত ১০০টি দেশে সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম রপ্তানি করেছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতকে ‘অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে’ পরিণত করার উদ্দেশ্যে মোদির দপ্তর থেকে ২০২০ সালের শুরুতে ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছিল। তারই জেরে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়।
এমনকি প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০২১ সারে প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল মোদির সরকার।