নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, অনেক অস্বস্তি নিয়ে কোনোক্রমে এখনো বিএনপিতে টিকে আছি। জেড ফোর্সে সময়নায়কদের মধ্যে, সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে চার জন বিএনপিতে ছিলেন। একজন কর্ণেল আকবর হোসেন তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। অন্য দুই জন কর্ণেল অলি আহমেদ ও মেজর শমসের মবিন চৌধুরী, তারা অন্য দলে চলে গিয়েছেন। আমি একমাত্র কোনো ক্রমে অনেক অস্বস্তি নিয়ে এখনো টিকে আছি। একাত্তরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সামরিক ব্রিগেড জেড ফোর্স গঠন নিয়ে আজ বিকালে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্সের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন হাফিজ উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, জিয়াউর রহমানকে আমরা সবাই একজন মহান রাষ্ট্রপতি রুপে জানি। তিনি যে কত কৌশলী সমরনায়ক ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সামরিক অঙ্গনে তিনি যে একজন তেজদীপ্ত একজন কমান্ডার ছিলেন। আজকে বিনা ভোটের এই সরকারের কারণে ক্রমাগতভাবে সেই ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, আমার কমান্ডার শহীদ জিয়াউর রহমানকে। তিনি বলেন, জেড ফোর্স ছিলো মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিগ্রেড কিন্তু এটি ছিলো একটি পূর্ণাঙ্গ বিগ্রেড। অন্য দুইটি যে বিগ্রেড ছিলো কে ফোর্স এবং এস ফোর্স। সেখানে দুইটি করে পদাতিক ব্যাটেলিয়ান ছিলো। কিন্তু জেড ফোর্সে তিনটি পদাতিক ব্যাটেলিয়ান ছিলো। এই জেড ফোর্স ছিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শক্তিশালী একটি বিগ্রেড যারা রনাঙ্গণে অনেক গৌরব দীপ্ত ভূমিকা রেখেছে। জেড ফোর্স স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সাহসিকতা পদক অর্জন করেছে। আত্মদানে ও শহীদের সংখ্যাও সবচাইতে বেশি এই জেড ফোর্সে। তিনি বলেন, রৌমারী একটি জায়গা এটি সবসময় স্বাধীন রেখেছে জেড ফোর্স। এখানে বারং বার আক্রমন চালিয়েছে পাকিস্তান বাহিনী নৌ পথে, কোদালকাঠিতে যুদ্ধে হয়েছে কয়েকবার। পরে তারা রণভঙ্গ দেয়। এই রৌমারী সবসময় স্বাধীন ছিলো। রৌমারীতে জিয়াউর রহমানে সঙ্গে আমি গিয়েছি। আমাদের অন্যান্য কমান্ডাররা গিয়েছেন। সেখানে আমরা ডাক চালু করেছি, একটি সিভিল প্রশাসনও চালু করেছিলাম। এই রৌমারী ৯টি মাস মুক্ত রাখার কৃতিত্ব দাবি করতে পারে জেড ফোর্স। তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় আমরা যারা বিএনপি করি আমরা নিজেরাই জানি না। সিলেটে কোথায় যুদ্ধ হয়েছে আমি সিলেটের নেতৃবৃন্দকে জিজ্ঞাসা করেছি তারাও বলতে পারেনি। এই হলো বাস্তবতা। যখন আমরা ক্ষমতায় থাকি তখন আমরা জীবিত নেতাদের তোষামদে ব্যস্ত থাকি। এখন কিছুটা শুনতে পারছি সেজন্য দলের স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটিতে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
বিএসডি মুছা