বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে গুগলের এআই অ্যাপ
বিদেশিসহ ৬ শতাধিক কয়েদিকে ক্ষমা করলেন ওমানের সুলতান
ঈদের আগে মোট রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই
কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন
গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল র‍্যাব
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
সৎ মা কারিনা ও বাবা সাইফকে বলিউডের সেরা দম্পতি বললেন...
গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭০
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।করোনা (কোভিড-১৯) মহামারী শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ধস নেমেছে। ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্বের জনসংখ্যা পাঁচশ’ কোটি হওয়ার পর ৯০ দেশের সরকারি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি সভায় চূড়ান্ত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের বিষয়টি।
ইউএনডিপির গভর্ন্যান্স কাউন্সিল কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অতি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে। এরপর থেকে জনসংখ্যা সমস্যার গুরুত্ব ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন চিন্তা করে প্রতিবছর সুনির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নির্ধারণের মাধ্যমে ১৯৯০ সাল থেকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে ২০২১।  বাংলাদেশে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণীত হলেও কাম্য জনসংখ্যা পরিকল্পনা সামনে আসেনি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ২০১৯ সালের তথ্য মতে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৮১ লাখ। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ। ৫০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি ৪৭ লাখ।২০১৯ সালের ১৭ জুন প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭৭০ কোটি। আগামী ৩০ বছরে আরো ২০০ কোটি যোগ হয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের অন্য পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি, ১৯২৭ সালে ২০০ কোটি, ১৯৫৯ সালে ৩০০ কোটি, ১৯৭৪ সালে ৪০০ কোটি, ১৯৮৭ সালে ৫০০ কোটি এবং ১৯৯৯ সালে ৬০০ কোটি। ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটিতে পৌঁছেছে। এই হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় এক হাজার কোটি এবং চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ ২১০০ সালে গিয়ে দাঁড়াবে এক হাজার ১০০ কোটিতে।কেউ কেউ মতামত দেন, পৃথিবীর যা সম্পদ রয়েছে তা সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০ কোটি লোকের জন্য যথাযথ। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভাব একসময় পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছিল। আবার জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে কৃষি বিপ্লব। বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশ ও উত্পাদন বৃদ্ধির কারণে সব মানুষের খাদ্যের সংস্থান তেমন সমস্যা নয়। সমস্যা বিদ্যমান বৈষম্যমূলক ও পুঁজিবাদী অর্থনীতির একচেটিয়া আধিপত্য। এর ফলে অনেক সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য মজুদের অভাবে নষ্ট হয়। হতাশার কথা হলো, খাদ্যাভাবে পতিত মানুষের কাছে যথাযথভাবে উদ্বৃত্ত খাদ্যও পৌঁছে না। অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে জাতিগত দ্বন্দ্ব, বিবাদ, জোরপূর্বক অভিবাসন ও প্রভাব বিস্তারের ফলে নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ-
বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাহরাইনের। এ ছাড়া দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আছে নাইজার, গায়ানা, ওমান, উগান্ডা, মালদ্বীপ, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, বুরুন্ডি ও চাদ।
জনসংখ্যা কমছে যে দেশগুলোঃ-
গত পাঁচ বছরে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়ে যে দেশগুলো সেগুলো হলো—পাঁচ বছর ধরে লিথুয়ানিয়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাইনাস ১.৪৮ শতাংশ। লাটভিয়ার মাইনাস ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, ভেনিজুয়েলার মাইনাস ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। , বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনার মাইনাস শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বুলগেরিয়া মাইনাস শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) ১৬ এবং মাতৃমৃত্যু হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে বর্তমানে ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।সূত্র জানায়, দেশে এখনও অনেক ক্ষেত্রে পরিবার থেকে কন্যাশিশুর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি বিয়ের পর সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের কোনো ভূমিকা থাকে না। এসবের কারণে একদিকে বাল্যবিবাহ, সন্তান নেয়া, মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ইত্যাদি ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
৫২ বছর আগে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ১৯৬৯ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের স্মারক ২৫৪২(১৯) ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়, বাবা-মা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সন্তান নেয়া এবং বিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ১৯৯৪ সালে কায়রোয় অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের ধারা ৮-এ বলা হয়, সন্তান সংখ্যা, দুই সন্তানের মাঝে বিরতি দেয়ার বিষয়টি ব্যক্তির অধিকার।একটি রাষ্ট্রের যে কয়েকটি মৌলিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে জনসংখ্যা অন্যতম। আর এই জনসংখ্যা কোনো দেশের জন্য সম্পদ আবার কোনো দেশের জন্য বোঝা। অনেক দেশে অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে বিচেনায় না করে বোঝা হিসেবে বিবেচনায় নেয়। তবে সমসাময়িক প্রযুক্তি এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অতিরিক্ত জনসংখ্যা দক্ষ করতে পারলে তা সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, অপুষ্টি, পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। আর এসব বিষয়কে সামনে রেখে জনসংখ্যা বিষয়ক সমস্যাগুলো সকলকে অবহিত করা এবং তা গুরুত্ব সহকারে সমাধানের প্রচেষ্টা করাই হলো দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। যেসব রাষ্ট্র এই জনসংখ্যাকে বোঝা হিসেবে দেখে, তারা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তবে জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে কিছুটা বৈশ্বিক বিতর্কও আছে। অনেকের মতে পৃথিবীর যে সীমিত সম্পদ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি লোককে জায়গা দেওয়া সম্ভব। তাদের মতে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা কমিয়ে আনা উচিত। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নত বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে বিশেষজ্ঞ। জনবহুল সমস্যায় জর্জরিত চীন এক সন্তান নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আবার কিছু দেশ ঋণাত্মক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের কারণে উল্টো বৃদ্ধি নীতিও গ্রহণ করেছে।পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা খুব বেশি আগের নয়। মূলত কৃষি বিপ্লবই জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এর পূর্বকার সময় খাদ্যাভাব পরোক্ষভাবে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নগরায়ন, বন উজাড়, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বৈশ্বিকউষ্ণতা ক্রমশই বাড়ছে। এরসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট  দুর্যোগ। সেইসাথে বিশ্বজুড়ে জাতিগত দ্বন্দ্ব ও বিবাদ নানা কারণে বাস্তুচ্যুতি ও জোরপূর্বক অভিবাসন তো রয়েছেই। এসব দুর্যোগ ও দ্বন্দ্বে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর এসব দিক বিবেচনায় বিশ্বে জনসংখ্যার ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক হার যেটিই হোক তা বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণই বয়ে আনবে বলে আশা করা যায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ইসলামের দৃষ্টিকোনঃ-মানুষ মহান আল্লাহর সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি। এই মানুষকে কেন্দ্র করেই সমগ্র সৃষ্টিজগতের সকল আয়োজন।অর্থনৈতিক কারণে বা সন্তান জন্ম দিলে তার খাওয়া পড়া বা জীবিকা নির্বাহের খরচের কথা চিন্তা করে সন্তান জন্ম দেয়া থেকে কোন অপ্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বিরত থাকা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তবে শারীরিক অসুস্থতা বা এরকম কোন বিষয় থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েজ রয়েছে, তবে তা যদি খাওয়াতে পারবে না এরকম আশঙ্কায় হয়, তবে তা ইসলামে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআনে বারবার এই বিষয়ে হুশিয়ারি করা আছে,পৃথিবীর প্রত্যেক জীবের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। (সূরা হূদ ১১:৬) অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিয্ক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (সূরা ইসরা ১৭:৩১)ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য ও সুখ-শান্তির উপাদান ও বাহন(সূরা কাহাফ ১৮:৪৬)প্রশ্ন আসতে পারে, কোরআনের এই আয়াতগুলোতে তো সন্তান হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে পুরুষের বীর্য যদি প্রবেশ নাই করে, তাহলে তো সন্তানও হলো না, আর সেই সন্তান হত্যাও হলো না। এরকম করা কী ইসলাম অনুসারে ঠিক হবে? নিচে তা বর্ণনা করা হচ্ছে। তার পূর্বে সহিহ কুদসী থেকে একটি হাদিস পড়ে নিই,সহীহ হাদিসে কুদসি
১/ বিবিধ হাদিসসমূহ পরিচ্ছেদঃ জান্নাত ও জাহান্নামীদের বর্ণনা ৬৭. ইয়াদ ইবনু হিমার আল-মুজাশি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএকদা তার খুতবায় বলেছেন: “জেন রেখ আমার রব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দেই যা তোমরা জান না, যা তিনি আজকের এ দিনে আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন: আমি আমার বান্দাকে যে সম্পদ দিয়েছি তা হালাল। নিশ্চয় আমি আমার সকল বান্দাকে সৃষ্টি করেছি শির্ক মুক্ত-একনিষ্ঠ, অতঃপর তাদের নিকট শয়তান এসে তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত করেছে। তাদের ওপর সে হারাম করেছে যা আমি তাদের জন্য হালাল করেছি। সে তাদেরকে নির্দেশ করেছে যেন আমার সাথে শরীক করে, যার সপক্ষে কোন দলিল নাযিল করা হয়নি। নিশ্চয় আল্লাহ জমিনে বাসকারীদের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন অতঃপর তাদের আরব অনারব সবাইর প্রতি তাঁর ক্রোধ আসে, অবশিষ্ট কতক কিতাবি ব্যতীত। তিনি আরও বলেন: তোমাকে প্রেরণ করেছি তোমাকে পরীক্ষা করব ও তোমার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করব এ জন্য। আমি তোমার ওপর এক কিতাব নাযিল করেছি, যা পানি ধুয়ে ফেলবে না, ঘুমন্ত ও জাগ্রত সর্বাবস্থায় তুমি তা তিলাওয়াত করবে। আর নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি কুরাইশদের জ্বালিয়ে দেই। আমি বললাম: হে আমার রব তাহলে তো তারা আমার মাথা থেঁতলে দিবে, অতঃপর রুটি বানিয়ে ছাড়বে। তিনি বললেন: তাদেরকে বের কর যেমন তারা তোমাকে বের করেছে, তাদের সাথে যুদ্ধ কর আমি তোমার সাথে যুদ্ধ করব, খরচ কর নিশ্চয় আমরা তোমার ওপর খরচ করব। তুমি বাহিনী প্রেরণ কর, আমি তার সমান পাঁচগুণ প্রেরণ করব। যারা তোমার আনুগত্য করেছে তাদের নিয়ে যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা তোমার অবাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন: জান্নাতিরা তিন প্রকার: (ক). ন্যায়পরায়ণ, সদকাকারী ও তাওফিকপ্রাপ্ত বাদশাহ। (খ). সকল আত্মীয় ও মুসলিমের জন্য দয়াশীল ও নরম হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি। (গ). অধিক সন্তান-সন্তুতিসম্পন্ন সৎ ও পবিত্র ব্যক্তি। তিনি বলেন: জাহান্নামীরা পাঁচ প্রকার: (ক). দুর্বল, যার বিচারিক বিবেক নেই, যারা তোমাদের মধ্যে অনুসারী, যারা সন্তান ও সম্পদ আশা করে না। (খ). খিয়ানতকারী, যার খিয়ানত গোপন থাকে না, সামান্য বস্তু হলে তাতেও সে খিয়ানত করে। (গ). এমন ব্যক্তি যে সকাল-সন্ধ্যা তোমার পরিবার ও সম্পদে ধোকা প্রদানে লিপ্ত। (ঘ). তিনি কৃপণতা অথবা মিথ্যার উল্লেখ করেছেন। (ঙ). দুরাচারী অশ্লীল ব্যক্তি”। [মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।যারা বিকৃতি করা ব্যতীত তাদের সঠিক দ্বীনে বহাল ছিল। এ সময়টা হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করার পূর্বে।হাদিসের মানঃ সহীহ।আল্লাহ তাআলা সকল মাখলুকের রিযিক নিশ্চয়তা দানকারী। তিনি বলেন: “আর পৃথিবীতে বিচরণশীল যে কারো রিযিক আল্লাহর উপর” [সূরা হুদ, আয়াত: ৬]তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিরোধ করা; সেটা গর্ভ-নিরোধক বিভিন্ন উপায় গ্রহণের মাধ্যমে কিংবা গর্ভপাত ঘটানোর মাধ্যমে কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে; এ বিশ্বাস থেকে যে, মজুদকৃত সম্পদ অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য যথেষ্ট নয়, কিংবা জনকল্যাণের দাবী হচ্ছে- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো; নিশ্চয় এটি আল্লাহর রুবুবিয়্যত (প্রতিপালকত্ব) ও তাঁর রিযিকের প্রশস্ততাকে অস্বীকার করার নামান্তর। এটি মুশরিকদের বিশ্বাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ; যারা দারিদ্রের ভয়ে তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করত। আল্লাহ তাআলা বলেন: “দারিদ্রের কারণে সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিযিক দেই।”[সূরা আনআম, আয়াত: ১৫১]
অধিক জনসংখ্যা আল্লাহর একটি নেয়ামত; এ নেয়ামতের শুকরিয়া করা ও নিরংকুশভাবে তাঁর ইবাদত করা কর্তব্য। এ কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী শুয়াইব (আঃ) এর কথা উল্লেখ করেন যে, তিনি তাঁর কওমকে আল্লাহর কিছু নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন: “স্মরণ কর; যখন তোমরা সংখ্যায় কম ছিলে; তিনি তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করলেন।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ৮৬]অধিক জনসংখ্যা উম্মতের মর্যাদা ও শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যম। তাই তো আল্লাহ তাআলা বনী ঈসরাইলদের সম্পর্কে বলেন: “অতঃপর আমি তোমাদের জন্যে তাদের বিরুদ্ধে পালা ঘুরিয়ে দিলাম, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও পুত্রসন্তান দ্বারা সাহায্য করলাম এবং তোমাদেরকে জনসংখ্যার দিক দিয়ে একটা বিরাট বাহিনীতে পরিণত করলাম।”[সূরা বনী ঈসরাইল, আয়াত: ৭]পরিশেষে, আমাদের প্রয়োজন জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং এর সাথে সাথে উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ইসলামীকরণ করা, বিধি-বিধানকে ইসলামীকরণ করা, আইন-কানুনকে ইসলামীকরণ এএর সাথে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো ।
লেখক-  সম্পাদক ও প্রকাশক,দৈনিক স্বাস্থ্য তথ্য 
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটি
০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
এনআইডি না থাকলেও যেভাবে ভ্যাকসিন পাবেন কুবি শিক্ষার্থীরা
পরের পোস্ট
জানতাম এমন দিন আসবে, স্বপ্ন পূরণ হবে

সম্পর্কিত পোস্ট

নগরবাসীর আস্থার বাহন হয়ে উঠছে মেট্রোরেল

নভেম্বর ১৯, ২০২৩

প্রবল অন্ধকারে আলোর দ্যূতি শেখ হাসিনা

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩

একজন স্বপ্নদৃষ্টা সাইদুল করিম মিন্টু

নভেম্বর ১২, ২০২২

আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

অক্টোবর ৮, ২০২২

অর্থনৈতিক উন্নয়নের রুপকার শেখ হাসিনা

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

পাকিস্তানপন্থিদের বিরুদ্ধে নৈতিক সংঘাত ও শেখ রেহানা

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২

মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

সেপ্টেম্বর ২, ২০২২

সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১

ওমিক্রন : অসচেতন সচেতন সমাজ

ডিসেম্বর ১১, ২০২১

বেগম রোকেয়া দিবস :নারী জাগরণের অগ্রদূত

ডিসেম্বর ৯, ২০২১

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English