লাইফস্টাইল ডেস্ক:
‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশনস ডে’বা বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস ১০ সেপ্টেম্বর। বিশেষ দিবসটিতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মো. ফারুক হোসেন জানালেন আত্মহত্যা প্রবণতার কারণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে।
তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষন্নতা দেখা দিতে পারে, তৈরি হতে পারে অস্থিরতা। অনেক সময় তাদের আবেগ, হতাশা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়ে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নেওয়ার চিন্তা করে।
এ ধরনের অবস্থা থেকে টিনএজারদের বের করে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সবার মধ্যেই সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি জোর দেন ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, সমাজের অনেক বিষয় দেখে বা জেনে টিনএজাররা প্রভাবিত হয়, যেমন একটি ঘটনা তাদের মধ্যে ভালো কাজ করার প্রভাব তৈরি করে, ঠিক তেমনি কোনো নেতিবাচক ঘটনা থেকেও একই ধরনের পথ বেছে নেওয়াকেই তারা মুক্তির পথ ভেবে নেয় অনেক সময়।
যেহেতু এই বয়সে তাদের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ হয়ে ওঠে না, কিন্তু তারা ভাবতে চায়। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল পথে অগ্রসর হয়ে যায়।
কোনো কিশোরের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করলে পরিবারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তার সঙ্গে কথা বলা, তাকে সুযোগ দেওয়া মনের কথা প্রকাশ করার। সে কারো সঙ্গে আবেগের প্রকাশ করতে পারলে বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় ফিরে আসে আর ভয়াবহ পরিণতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধু-শিক্ষক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সাহায্যের জন্য। সচেতনতা তৈরি করতে হবে প্রতিটি স্তরে। বড় ভূমিকা রয়েছে মিডিয়ার, মিডিয়াতে এমন কোনো খবর প্রচার করা যাবে না, যা দেখে প্রভাবিত হয়ে কোমলমতি কিশোররা বিপথে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এসআইএস
নজর দিতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর দিকে। তাদের মনের কথাগুলো যেন পরিবারের কাছে প্রকাশ করতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন চাহিদা পূরণ না হওয়ায় অনেক সময় টিনএজাররা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে, নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা জানা থাকলে এই প্রবণতা কমে আসবে। তারা অনেক বেশি আবেগি হয়, আর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, ফলে দুর্ঘটনা বেশি হয় এই বয়ঃসন্ধিতেই।
সে কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ হবে সেই লক্ষণও তার মধ্যে এই বয়সেই শুরু হয়।
সে রোল মডেল খোঁজার চেষ্টা করে। বাবা, মা, ভাইবোন, আত্মীয়, শিক্ষক বা কোনো সেলিব্রেটির মতো হতে চায় সে। যখন দেখে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির সঙ্গে তার অনেক বেশি পার্থক্য তখন হতাশা তৈরি হতে পারে, এমন হতে পারে, শারীরিক-মানসিক-যৌন নির্যাতন থেকেও।
যেকোনো টিনএজারের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় পরিবারকে অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য অবশ্যই কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।