ক্রীড়া ডেস্ক,
নিজেদের বিজয়ের বার্তা দিয়ে আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। দেশটির ক্ষমতা এখন তাদের দখলে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ক্রিকেট নিয়ে ভাবাটা যেন বিলাসিতাই এখন। তবুও দেশটির ক্রিকেট বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন, জাতীয় দলের বেশ কয়েকশ ক্রিকেটার। চলতি মাসের ৩১ তারিখ বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। তবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে যুবাদের এই সিরিজ নিয়ে।
গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার কথা ছিল যুব টাইগারদের। ভারতে হওয়ার কথা ছিল দুই দলের লড়াই। শেষ পর্যন্ত এই সিরিজ আর মাঠে গড়ায়নি। নতুন সূচিতে ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে এসে সেপ্টেম্বরে ৫টি ওয়ানডে ও ১টি চারদিনের ম্যাচ খেলার কথা আফগান যুবাদের। এর জন্য আগামী ১৮ আগস্ট থেকে ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে এবারও শঙ্কার দোলাচলে এই সিরিজ।
বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু এনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘আফগানিস্তানের জাতীয় দলের পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা আছে এজন্য তারা শ্রীলঙ্কায় যাবে। সেটা যদি হয়, তবে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল না আসার কোন কারণ নেই। আমরা সেটির অপেক্ষায় আছি। যদি তাদের জাতীয় দল শ্রীলঙ্কায় যায়, তবে আমাদের সিরিজ নিয়েও আমরা আশাবাদী।’
প্রয়োজনে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্ধারিত সূচিতে পরিবর্তন আনতেও রাজি বিসিবি। কায়সার বলছিলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সিডিউল আর একটু পিছিয়ে হলেও আমরা সিরিজটা আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী।’
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বোর্ড। সফরে আসার জন্য আফগান যুবাদের অনুশীলন চলছে ঠিকঠাক। তবে পরিস্থিতি যেহেতু ভিন্ন রূপ নিয়েছে, শঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না বিসিবি।
কায়সার বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। তবে শঙ্কা তো কিছুটা আছে, শঙ্কা থাকবেই। যে সরকারই আসুক, সে দেশের ক্রিকেটের কোন ক্ষতি হবে না। বর্তমানে তাদের দলের গতিবিধি, তাদের অনুশীলন এসব নিয়ে আমরা কিছু বার্তা পেয়েছি। তাতে মনে হচ্ছে খুব বেশি সমস্যা হবে না। এখন আমরা অপেক্ষা করছি শেষ পর্যন্ত আফগান ক্রিকেট বোর্ড তাদের সরকারের সাথে আলোচনা করে কী ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে জানাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। এখনো পর্যন্ত যে কথাবার্তা হয়েছে, তাতে তাদের আসাটা নিশ্চিত বলা যায়। এখন যেহেতু পরিস্থিতি একটু ভিন্ন তারা শেষ সিদ্ধান্ত কি জানায় আমরা সে জন্য অপেক্ষা করছি।’
বিএসডি/আইপি