আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
কাবুল দখলের পর স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অত্যাধুনিক সব অস্ত্র তালেবানের হাতে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ছবিতে তালেবান যোদ্ধাদের দেখা গেছে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সাজে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষ বাহিনীর যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের কোনোভাবেই আলাদা করা যাচ্ছিল না। সেসব ছবিতে ছিল না তালেবান যোদ্ধাদের লম্বা দাড়ি কিংবা তাদের ঐতিহ্যবাহী সালোয়ার-কামিজ পোশাক, ছিল না জং ধরা পুরোনো সব অস্ত্রও। আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী যখন দেশটির একের পর এক শহরে আত্মসমর্পণ করছিল, তখন তালেবান তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র জব্দের সুযোগ পায়। পায় হামভি ট্রাক ও ব্ল্যাক হকের মতো হেলিকপ্টার। এর ফলে এখন তালেবানই পৃথিবীর একমাত্র উগ্রপন্থি গোষ্ঠী, যাদের একটি বিমানবাহিনীও থাকছে। জব্দ হওয়া এসব অস্ত্র থেকে একেকজন তালেবান যোদ্ধা একাধিক অস্ত্র ভাগে পেয়েছে। তাছাড়া অত্যাধুনিক এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই তালেবানের অচেনা। ফলে বেশিরভাগ অস্ত্রেরই শেষ ঠাঁই হয়েছে খোলাবাজারে।
দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের পাঞ্জওয়াই জেলার ব্যবসায়ী খান মোহাম্মদ একটি ফার্মেসি চালাতেন। এর পাশাপাশি তার দোকানে হালকা নাশতাও কিনতে পাওয়া যায়। তালেবানের দখল আফগানিস্তানকে অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক যন্ত্রণায় নিমজ্জিত করলেও ব্যবসায়ী খান মোহাম্মদের হয়েছে পোয়াবারো। তার দোকানে ওষুধের পাশাপাশি এখন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি স্মিথ ও ওয়েসন পিস্তল এবং গুলির বেল্ট, কমব্যাট ক্যামোফ্লেজ ভেস্ট কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। খবর এএফপির।
এ ছাড়া পিস্তল, গ্রেনেড, ওয়াকিটকি তার দোকানের সামনের তাকে সাজিয়ে রাখা আছে। সাধারণ আফগানের পাশাপাশি অনেক মুজাহিদ পছন্দমতো এসব অস্ত্র কিনতে আসে। পাঞ্জওয়াই বাজারের আরেক ব্যবসায়ীর দোকানে অ্যাসল্ট রাইফেল একে-৪৭-এর পাশাপাশি এম ফোর, এম সিক্সটিন এবং হালকা মেশিনগান কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
তালেবান বহু বছর ধরে কালোবাজার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর চিত্র পাল্টে গেছে। এখন তাদের প্রত্যেকের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। বাজারের বিক্রেতা মুর্তজা বলেন, আফগান সেনাঘাঁটি জয় করার পর আমরা এসব জিনিস তালেবানের কাছ থেকে কিনেছিলাম। এখন আমরা এগুলো সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছি।
বিএসডি/এএ