আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগান শরণার্থীদের ‘অপ্রত্যাশিত জরুরি’ চাহিদা মেটানো জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করেছেন। মার্কিনীদের পক্ষে কাজ করে তালেবান হামলার হুমকিতে থাকা যেসব শরণার্থী রয়েছেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিতে ভিসা প্রোসেসিংসহ নানা কাজে এ অর্থ ব্যয় হবে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে পরিষেবাসহ অন্য খাতে খরচের জন্য আরও ২০ কোটি ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আফগানিস্তানে মানবিক ও কূটনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আশরাফ ঘানির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ আশ্বাস দেন।
আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ওয়াশিংটন। এ সেনা প্রত্যাহার পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের অনেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। বেশ কিছু প্রাদেশিক রাজধানী শহরও সরকারি বাহিনীর হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। সম্প্রতি বার্তাসংস্থা এপির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান জানায়, আফগানিস্তানে আশরাফ ঘানি সরকার অপসারিত না হলে শান্তি ফিরে আসবে না। এ প্রেক্ষাপটে বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন আশরাফ ঘানি। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন এবং ঘানি একমত হয়েছেন, তালেবানের বর্তমান আক্রমণ ‘মধ্যস্ততার মাধ্যমে এ সংঘাতের একটি সমাধানের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান’। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আশরাফ ঘানিকে টেলিফোনে বাইডেন আশ্বস্ত করেন ‘একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং ন্যায্য রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে’ যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে কাজ করে তালেবানের লক্ষ্যে পরিণত হওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিককে বিশেষ অভিবাসন ভিসায় (এসআইভি) সেদেশ থেকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে ওয়াশিংটন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দোভাষী হিসেবে কাজ করায় আফগান নাগরিকদের লক্ষ্যে পরিণত এবং হত্যার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রসঙ্গত, বাইডেন প্রশাসন আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ঠিক করেছে।
বিএসডি/এমএম