নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানুষের মস্তিষ্ক সবসময় সব কিছু মনে রাখতে পারে না, অনেক কিছুই ভুলে যায়। তাই এদেশের ইতিহাসকে বারে বারে বলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। অমর্ত্য সেন তার বইয়ে লিখেছেন, সেই বছর সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভিক্ষ হওয়ায় সেখানে তিন লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারও শোনা যাচ্ছে। অনাহারে মারা যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু অর্ধ আহার ও অপুষ্টিতে আছে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এক ব্যক্তির ইতিহাসে পরিণত করেছি। কিন্তু কোনো জাতি এক ব্যক্তি দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। দেশ স্বাধীনের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যারা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন সকলের অবদান রয়েছে। তাজউদ্দীন আহমেদ, মাওলানা ভাসানী, মুজাফফর আহমেদসহ সবারই অবদান রয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, যখন আমি আগরতলায় ফিরে আসতাম তখন তাজউদ্দীন ভাই সব সময় বলতেন, জাফরুল্লাহ আমি জানি আলজেরিয়ার ইতিহাস, এ দেশ যখন স্বাধীন হবে তখন হয়তো আমি থাকব না। এটাই হলো জাতির দুর্ভাগ্য। যারা জাতিকে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা সব সময় স্মরণযোগ্য হয় না। সেই একই অবস্থা হয়েছে আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদের এবং আমাদের প্রবাসী সরকার প্রধান তাজউদ্দীন আহমদের ক্ষেত্রে। আমাদের তাদের মনে রাখা উচিত।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে জাফরুল্লাহ বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ইংল্যান্ডে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যারা ইংল্যান্ডে যেতেন, তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে তিনি আন্দোলন করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যারিস্টার মওদুদ এবং আমিনুল ইসলাম প্রবাসী সরকারকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।
বিএসডি/ এলএল