নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া আমানত শাহ নামে ফেরিটির এক-চতুর্থাংশ পানি ও কাদামাটির নিচে ডুবে আছে। এ কারণে ফেরিটি উদ্ধারে এখন সলিং করে বার্জ লাগাতে হবে। এরপরই এটি তোলা সম্ভব হবে।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরিটির পানির নিচের তলদেশ সার্চ শেষে এমন মন্তব্য করেন জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ডুবুরি মো. স্বপন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (চট্টগ্রাম) মো. সেলিম বলেন, ফেরিটি দ্রুত উদ্ধার করতে হবে, এ জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র তত্বাবধানে তারা ফেরিটি উদ্ধারে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সকল লজিস্টিক সাপোর্ট থাকবে। ফেরিটি উদ্ধারে উভয়েরই ডুবুরি দল, উদ্ধার জাহাজ এবং উইন্স বার্জ একত্রে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, আমানত শাহ ফেরিটি যানবাহনসহ ডুবে যাওয়ার পরই আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে ১৪টি যানবাহন ও পাঁচটি মোটরসাইকেলসহ সব যান উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত আমানত শাহের বডির ওজন ৪৮০ টন। আজকে পাঁচ দিন ধরে অর্ধেক অংশ পানির নিচে থাকায় পানি ও পলি মাটি জমে তার ওজন ৬০০ থেকে ৬৫০ টন হয়ে গেছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা না থাকায় ফেরিটি উদ্ধারে জেনুইন এন্টারপ্রাইজের সহায়তা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে জেনুইনের ডুবুরি দল সার্চের কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত সকল সরঞ্জামাদি আগামী বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। ফেরিটি উদ্ধারে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।
এর আগে বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নাম্বার ঘাটে আমানত শাহ নামে রো রো ফেরিটি ডান দিকে কাত হয়ে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার আগে ফেরি থেকে তিনটি যানবাহন নামতে পারলেও বাকি ১৪টি যানবাহন এবং বেশ কিছু মোটরসাইকেলসহ ফেরিটি পদ্মায় ডুবে যায়।
বিএসডি / আইকে