বর্তমান সময় ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসময় বাড়ির বাইরে থাকায় রক্ষা পান ফরমুজ (২৪)।
ফরমুজ বলেন, রাতে যখন বিস্ফোরণ হয়, আমি তখন বাড়ির বাইরে মোবাইল টিপছিলাম। বিকট শব্দ পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই আগুনে পুড়ছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক বলেছেন দগ্ধ চারজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে আমি গার্মেন্টসে কাজ করি। সেই পরিবারের সবাই আজ মৃত্যুর মুখে। কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।
আহতদের মধ্যে সোনা উদ্দিনের (৪৫) শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের (৬৫) শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসন বানুর (৫৫) শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের (২৪) শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের (১৫) শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ওমর ফারুক বাদে বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকায় একটি বাসায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের পাঁচজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম বলেন, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকানে কাজ করে। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
তিনি আরও বলেন, রাতে তারা যখন বাসাটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাসলাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিএসডি/আরপি