স্টাফ রিপোর্টার -
প্রতারণাসহ দুই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীকে আরও চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গত রোববার (১ আগস্ট) গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গুলশান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। গত শুক্রবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন- রিমান্ডে হেলেনা : আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। গত ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডে অবস্থিত বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। ওইদিনই তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারায় এই মামলা করেন র্যাব-১ এর সিপিও মজিবুর রহমান। মামলায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নামোল্লেখ করা হয়। এই সংগঠনের দেশে-বিদেশে শাখা খুলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলা হয়। এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।