নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তারা জানিয়েছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পুরো আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন সার্বিকভাবে বেড়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের কাছে পাঠানো ঋণসংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টি, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। অর্থাৎ এ ধরনের লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ২৩৯টি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬৭৫টি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএফআইইউর প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর উপপ্রধান মো. কাওছার মতিন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান, পরিচালক মহুয়া মহসীন প্রমুখ।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এসময় বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান বিএফআইইউর প্রধান।