ধীরে ধীরে করোনা মুক্ত হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গসহ ভারত। কিন্তু তারই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের অশনি সঙ্কেত। এবারে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বলে প্রকাশ করা হয়েছে একাধিক গবেষণাপত্রে। ফলে পরিস্থিতি সামল দিতে এগোচ্ছে মমতার সরকার। শিশুদের চিকিৎসার জন্য আগেই একাধিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুর মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) প্রশাসনিক ভবন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ১২ বছর পর্যন্ত শিশুর মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তৃতীয় ঢেউয়ের আগে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় কোনো কমতি রাখতে চায় না মমতার সরকার।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ৩০ হাজার কোভিড বেড রয়েছে রাজ্যে। বর্তমানে সংক্রমণ কমায় অনেক বেড ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বাড়ানো হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য আরও ১৩০০ ক্রিটিক্যাল ইউনিট শয্যা তৈরি করা হচ্ছে। থাকবে ৩৫০ শয্যা থাকবে এসএনসিইউ-তে। এর পাশাপাশি শিশুদের ১০ হাজার সাধারণ শয্য়ার ব্যবস্থাও থাকছে। জোর বাড়ানো হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহে।
মুখ্যমন্ত্রী এর আগেই জানিয়েছিলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচন আট দফায় হওয়ায় রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ হার চলে গিয়েছিল ৩৩ শতাংশে। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শিশুদের। সে কারণে শিশুর মায়েদের টিকাকরণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কারণ ছোট্ট বাচ্চা থেকে মোটামুটি ১২ বছর পর্যন্ত শিশুরা অনেকটাই মায়ের উপরে নির্ভরশীল। সে কারণেই ওই মায়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। যাতে মায়ের থেকে বাচ্চাটা সংক্রমিত না হতে পারে।