নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেব্রুয়ারিতে ২৬৫ জন নির্যাতনের শিকার:
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত আড়াই বছরে সারাদেশে ৮০ কিশোরী ও তরুণী পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। শুধু তাই নয় পরিষদ বলছে, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৬৫ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৮ জন। এর মধ্যে ৪৬ কন্যাশিশুসহ ৭৫ জন ধর্ষণের শিকার, ৩ কন্যাশিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ১ কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা পরিষদ জানায়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২৬৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৮ জন। তার মধ্যে ৪৬ কন্যাশিশুসহ ৭৫ জন ধর্ষণের শিকার, ৩ কন্যাশিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ১ কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে। এছাড়াও ৬ কন্যাশিশুসহ ৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মহিলা পরিষদ বলে, এ সময় ১ কন্যাশিশুসহ ৪ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ১ কন্যাশিশুসহ ৩ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। ৫ কন্যাশিশুসহ ৮ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১ কন্যাশিশুসহ ২ জন উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে। ১০ কন্যাশিশুসহ ১৩ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে।
বাদ যায় পতিতালয়ে বিক্রি হওয়াও। ফেব্রুয়ারিতে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ২ জন নারীকে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন, তার মধ্যে ৭ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ কন্যাশিশুসহ মোট ১২ জন। বিভিন্ন কারণে ১০ কন্যাশিশুসহ ২৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ কন্যাশিশুসহ ৩৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় ৬ কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে মহিলা পরিষদ জানায়, এছাড়াও ৩ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ১ কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ৫ জন। এ সময় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ৩টি।
বিএসডি/ এফএস