এবারের ইউরোয় আরও গোল হবে। নিজ নিজ দলের পক্ষে সবাই গোল করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু মেরিহ দেমিরালের জায়গাটা কেউ নিতে পারবেন না।
এই ইউরোয় প্রথম গোল করা খেলোয়াড়টি তিনি। কিন্তু দেমিরাল নিজেই তা মনে রাখতে চাইবেন না। নিজের করা গোল বিপক্ষ দলের স্কোরে যোগ হলে কে মনে রাখে! হ্যাঁ, গোলটি আত্মঘাতী।
ইউরোয় কাল প্রথম ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইতালি। ৫৩ মিনিটে ইতালি গোলের খাতা খুলেছে তুর্কি ডিফেন্ডারের পা থেকে। ইতালিয়ান উইঙ্গার দমিনিকো বেরার্দির ক্রস সামলাতে গিয়ে বল নিজেদের জালে জড়ান জুভেন্টাসের দেমিরাল।
অর্থাৎ এবারের ইউরোয় প্রথম গোলটাই হলো আত্মঘাতী। অনাকাঙ্ক্ষিত এই গোলের মধ্য দিয়ে ইউরো ইতিহাসে নতুন এক পাতাও খুললেন দেমিরাল। ইউরোয় এই প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের শুরুটা হলো আত্মঘাতী গোলে।
দেমিরালের দুঃখের শেষ এখানেই নয়। আত্মঘাতী গোলটির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সাসসুয়োলো ছেড়ে ২০১৯ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেন দেমিরাল।
ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে এ মৌসুমে ২৩ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাঁর আত্মঘাতী গোলের পর স্বাভাবিকভাবেই জুভেন্টাস ও ইতালিকে একসূত্রে গেঁথে দেমিরালকে নিয়ে রসিকতা করেছেন অনেকে।
ইএসপিএনের কলামিস্ট ও সংবাদকর্মী ডেভিড আমোয়াল দেমিরালের আত্মঘাতী গোলের পর টুইট করেন, ‘জুভেন্টাস সব সময়ই ইতালি জাতীয় দলের মেরুদণ্ড।’
ফুটবলবিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট গোলডটকমের সংবাদকর্মী রোনান মার্ফির টুইট, ‘ইতালির কৌশল ভালো লাগছে, তারা তুর্কি ডিফেন্ডারদের তাক করে শট নিচ্ছে যেন এটাই গোলের একমাত্র সুযোগ।’
এক ইতালি সমর্থকের মজার টুইট, ‘মেরিহ দেমিরালকে ধন্যবাদ। জুভেন্টাস তার রক্তে।’ আরেক সমর্থকের টুইট, ‘জুভেন্টাস সতীর্থদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছেন দেমিরাল।’ কাল ইতালি দলের রক্ষণভাগ সামলানো জর্জিও কিয়েল্লিনি ও লিওনার্দো বোনুচ্চিদের সঙ্গে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ সামলেছেন দেমিরাল।’
তবে দেমিরালের মনের কষ্টটা বুঝেছেন এসবিনেশনের ফুটবল লিখিয়ে জিটো। দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁর টুইট, ‘খেলাধুলার অন্যতম সেরা আনন্দ হলো একজন ডিফেন্ডারের আত্মঘাতী গোলের পর তার ব্যথাতুর মুখটা।’ কাল আত্মঘাতী গোলের পর দেমিরালের মুখটা ঠিক এমনই ছিল। ইউরোর ইতিহাসে ভুল পাতার জন্ম দেওয়ার কষ্টটা শুধু তিনি-ই জানেন!