আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তিউনিসিয়া উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশিসহ ২৫৭ অভিবাসন প্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন। শনিবার (৭ আগস্ট) ইতালির সিসিলি দ্বীপের ট্রাপানি বন্দরে জাহাজটি নোঙর করে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটিতে থাকা অধিকাংশ মানুষই বাংলাদেশ, মরক্কো, মিশর ও সিরিয়ার বাসিন্দা। ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত জার্মানির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সি ওয়াচ পরিচালিত জাহাজটি যখন বন্দরে নোঙর করে তখন তাদের হাততালি দিতে দেখা যায়।
অনেকে হাত নেড়ে তাদের ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন সফল হয়েছে বলেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জাহাজের ডেকে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে একজন এ সময় একটি প্ল্যাকার্ড উচিয়ে ইউরোপ প্রবেশের মুহূর্ত উদযাপন করেন। ওই প্ল্যাকার্ডটিতে লেখা ছিল ‘ইতালি ভালো’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে বর্তমানে অন্য একটি জাহাজে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হবে। সেখানে মূলত দুই সপ্তাহ থাকবেন তারা। যদিও আগাম সতকর্তার অংশ হিসেবে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা এরই মধ্যে করা হয়েছে।
গত রবিবার ভূমধ্যসাগরে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী একটি কাঠের নৌকা থেকে মোট ৩৯৪ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি ওয়াচ এবং ইউরোপীয় দাতব্য সংস্থা এসওএস মেডিটেরানি পরিচালিত জাহাজ ওশ্যান ভাইকিং। এরপর জাহাজটি নোঙর করার চেষ্টা চলছিল।
ব্রিটিশ মিডিয়ার দাবি, প্রতিদিন আফ্রিকার দেশ লিবিয়া আর তিউনিশিয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগরের ঝুকিপূর্ণ পথে পাড়ি জমায় অসংখ্য অভিবাসন প্রত্যাশী। তাদের কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কেউ ফিরে যায় আর কারো হয় সলিল সমাধি।
কিন্তু উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে পথটিতে পাড়ি জমানো মানুষ ও নৌকার সংখ্যা বেড়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএমের হিসাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরে এমন ১১০০ এর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
বিএসডি/এমএম