লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে ইতালির শক্তির পার্থক্য অনেক। তাই বড় জয়টা স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু কালকের ম্যাচে ইতালি কোচ মানচিনির স্বস্তির বড় জায়গা ২১ বছরের দুই তরুণ-ময়েস কিয়ান ও জিয়াকোমো রাসপাদোরি। এঁদের মধ্যে কিয়ান জোড়া গোল করেছেন। রাসপাদোরির গোল একটি। ইতালির বাকি দুটি গোলের একটি আত্মঘাতী ও অন্যটি জিওভান্নি ডি লরেঞ্জোর।
বুলগেরিয়া আর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ড্রয়ের পর এ ম্যাচে জয়ে যেন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন কোচ মানচিনি। তবে তাঁর স্বস্তিটা অন্য জায়গায়—খেলার ধরনে, ‘কয় গোলে জিতলাম, এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী দলের খেলোয়াড়েরা খেলতে পারছে কিনা।’
দুই তরুণের খেলা নিয়েও সন্তুষ্টি আছে মানচিনির, ‘খেলাটা তাদের পায়ে আছে। মাথাতেও আছে। তারা যদি পরিশ্রম করে, খেলাটা নিয়ে ভাবে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ দুর্দান্ত।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পিএসজি থেকে ধারে এবারই জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারটা অবশ্য ২০১৬ সালে জুভেন্টাসেই শুরু হয়েছিল। এরপর ধারে চলে যান ভেরোনায়। সেখান থেকে ২০১৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন এভারটনে। এরপর আবার ধারে যান পিএসজিতে। মেসির ক্লাবই এবার কিয়ানকে ধারে খেলতে পাঠিয়েছে জুভেন্টাসে।
রাসপাদোরির আনন্দটা অবশ্য অন্যরকম। কাল ম্যাচটা যে মাঠে হয়েছে, সেই মাপেই স্টেডিয়াম হচ্ছে তাঁর ক্লাব সাসুয়োলোর ঘরের মাঠ। দেশের জার্সিতে নিজের মাঠে খেলাই আনন্দের বিষয়, তার ওপর গোল। রাসপাদোরির গোটা পরিবারই নাকি মাঠে বসে উপভোগ করেছেন ছেলের সাফল্য, ‘আমি বুঝতে পারছি না, কী করে ফেলেছি। মুহূর্তটা কোনো সন্দেহ নেই, দুর্দান্তই ছিল। আমার নিজের ক্লাবের মাঠ, পরিবারের সবাই গ্যালারিতে বসে আমার খেলা উপভোগ করছে, সবকিছুই স্বপ্নের মতো ছিল।’
নিজেদের গ্রুপে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৬। লিথুয়ানিয়া এখনো পর্যন্ত এ গ্রুপে কোনো পয়েন্টই পায়নি।
বিএসডি/এএ