নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা সিরি ‘আ’ হাতছাড়া হয়েছে এই মৌসুমে। জুভেন্টাসের চ্যাম্পয়িনস লিগ ভাগ্যও ঝুলছে সুতোয়। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা এক মৌসুমে দলটি অবশেষে বলার মতো কোনো সাফল্য পেল। আজ সাসসুয়োলোর মাঠ চিত্তা দেল ত্রিকোলোরে আতালান্তাকে ২–১ গোলে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো কোপা ইতালিয়া বা ইতালিয়ান কাপ জিতেছে আন্দ্রেয়া পিরলোর দল। ৪২তম জন্মদিনে বড় উপহারই পেলেন পিরলো। সম্ভাব্য বিদায় উপহার পেলেন জিয়ানলুইজি বুফনও। হয়তো এই ম্যাচটিই জুভের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকতে পারে অভিজ্ঞ গোলরক্ষকের।
সিরি ‘আ’র মতো কোপা ইতালিয়াতেও সবচেয়ে সফল দলটির হয়ে গোল করেছেন দেয়ান কুলুসেভস্কি ও ফেদেরিকো কিয়েসা। আতালান্তার একমাত্র গোলটি রুসলান মালিনিকোভস্কির। ৩১ মিনিটে মেসিডোনিয়ান উইঙ্গার কুলুসেভস্কির গোলে এগিয়ে যায় জুভ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ও ওয়েস্টন ম্যাকেনির পা ঘুরে বল আসে কুলুসেভস্কির পায়ে। পেনাল্টি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলকিপারের ডান পাশ দিয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি কুলুসেভস্কি।
১০ মিনিট পরে ১৯৬৩ সালের কোপা ইতালিয়া জেতার পর আর কোনো বড় শিরোপা না জেতা আতালান্তার একমাত্র গোলটি করেন মালিনিকোভস্কি। হান্স হাটেবোয়েরের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন ইউক্রেনিয়ান মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে গোল হয়েছে এই দুটিই।
৭৩ মিনিটে জুভকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন কিয়েসা। কুলুসেভস্কির পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করেন ইতালিয়ান উইঙ্গার। এই মৌসুমে নিজের ১৩তম গোল করার মিনিটখানেক পরেই অবশ্য কিয়েসা চলে যান মাঠের বাইরে। তাঁকে উঠিয়ে পাওলো দিবালাকে নামান জুভ কোচ পিরলো।
শেষ বাঁশি বাজার পর বাধভাঙা উল্লাসে মাতেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা। জুভের জয়ের অন্যতম নায়ক কিয়েসা রাই স্পোর্তকে বলেন করোনায় হাসতে ভুলে যাওয়াদের মুখে একটু হাসি ফিরিয়ে আনতে পারাটাই তাঁদের বড় পাওনা, ‘সবার জন্যই দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে যারা কষ্টে ছিলেন। আমরা খেলোয়াড়েরা তো সুরক্ষিতই ছিলাম কিন্তু কত মানুষকে কষ্ট করতে হয়েছে, এখনো করতে হচ্ছে।’
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল আতালান্তাই। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেরই দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল দলটি। বিরতির পর অবশ্য আতালান্তার তেমন সুবিধা করতে পারেনি। রোনালদোর ব্যাকহিল থেকে পাওয়া বলটাকে কিয়েসা পোস্টে না লাগালে ব্যবধানটা আরও বড় করতে পারত জুভ।