আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গোলযোগপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রে এলাকায় যুদ্ধরত বিদ্রোহী বাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, তাইগ্রে এলাকায় ৫ হাজার ৬০০ বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, মোট কতজন হত্যা করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত না দিলেও গতকাল শনিবার ইথিওপিয়ার সিনিয়র লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাচা দেবেলে দাবি করেছেন, ২ হাজার ৩০০ বিদ্রোহী আহত হয়েছেন। এবং তারা ২ হাজার জনকে বন্দী করেছেন।গত বছর নভেম্বর থেকে এ অঞ্চলটিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।
এর আগে সিনিয়র লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাচা দেবেলে তাইগ্রে এলাকার বিদ্রোহী সংগঠন তাইগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বিরুদ্ধে ইথিওপিয়া ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন। কারণ, সংগঠনটি আমহার ও আফার নামে দুটি অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল। দেবেলে বলেন, টিপিএলএফ টাইগ্রে এবং আমহারার সীমান্তে হুমেরার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সেটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাচা দেবেলের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তাইগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)।
এদিকে, ১০ মাসের এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কারণে জনজীবন কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, সংঘর্ষের কারণে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ অনাহারে রয়েছে। ৫০ লাখেরও বেশি সাধারণ মানুষকে জরুরি সহায়তার প্রদানের কথাও জানিয়েছে তারা।
শনিবার ইথিওপিয়ার সরকার জানায়, জরুরি সহায়তা সম্বলিত ৫০০টি ট্রাক তাইগ্রে এলাকায় প্রবেশ করেছে যার মধ্যে গত দুদিনে ছিল ১৫২টি। যদিও এ দাবির কোনো সত্যতা যাচাই করা হয়নি। অবশ্য, জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, গত ২২ আগস্টের পর তাইগ্রেতে একটি ট্রাকও ঢোকেনি, যেখানে প্রতিদিনই ১০০ ট্রাক সহায়তার প্রয়োজন ছিল।
বিএসডি/এএ