নিজস্ব প্রতিবেদক,
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। ভেতরে আর কোনো মরদেহ আছে কি না তা দেখতে আজ তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও শ্রমিক নিহত প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
তিনি বলেন, জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার?
তিনি আরো বলেন, আমি তো আর যেয়ে আগুন লাগিয়ে দেইনি। অথবা আমার কোনো ম্যানেজার আগুন লাগায়নি। শ্রমিকদের অবহেলার কারণেও আগুন লাগতে পারে।
কারখানাটি ইনস্যুরেন্স করা আছে উল্লেখ করে আবুল হাসেম বলেন, যে কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটির ইনস্যুরেন্স করা আছে। ভয়ের কারণ নেই। ইনস্যুরেন্সের টাকায় কারখানা দাঁড় করানো যাবে না ঠিক, তবে পরিশ্রম করে আমাদের দাঁড় করাতে হবে।
হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় কারও হাত নেই। আমাদের অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোনোটিতে এর আগে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। হতাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে এই কঠিন বিপদে তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাই।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। যাবতীয় চিকিৎসা খরচ প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়ার কথা বলেছি। আগে যেমন এসব শ্রমিকদের পাশে ছিলাম, সামনের দিনগুলোতেও থাকবো। সব ধরনের সহযোগিতা করবো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করবো। আশা করছি, আমরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
বিএসডি/সাজ্জাদ