আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত কবলিত দেশ লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহর ছোড়া তিনটি রকেট ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে। বুধবার (৪ আগস্ট) হামলাটি চালানো হলেও এতে কোনো ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এসবের জবাব হিসেবে লেবাননের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একের পর এক কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে দখলদার সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলেছে, সীমান্ত অঞ্চলে লেবাননের হামলায় ইসরায়েলের কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভয়াবহ এই হামলার একটি ছবিও ছাপিয়েছে ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম। ছবিতে ইসরায়েলের সীমান্ত সংলগ্ন একটি মাঠ থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
ব্রিটিশ মিডিয়া রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেবাননের সীমান্ত এলাকার কাছে কিরিয়াত শমোনো শহরসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রকেট হামলার ব্যাপারে সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়।
বিবৃতির মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বুধবার লেবাননের সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়েছে এবং অন্য দুটি দেশের ভেতরে আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন : পরীমনির সহযোগী রাজও আটক, মাদক উদ্ধার
এ দিকে লেবাননের প্রত্যক্ষদর্শীরাও ইসরায়েল লক্ষ্য করে কয়েকটি রকেট ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, জবাবে ইসরায়েলি কামান বাহিনী লেবাননের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে।
লেবাননের হেজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলের এক যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সীমান্ত মোটামুটি শান্ত ছিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হেজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর হাতে উন্নত কিছু রকেট রয়েছে।
যদিও অতীতে বিভিন্ন সময়ে লেবাননের হেজবুল্লাহর ফিলিস্তিনপন্থি একটি অংশ বিক্ষিপ্তভাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছিল। গত ২০ জুলাইও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দুটি রকেট নিক্ষেপ করে সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহ। কিন্তু ওই হামলাতেও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি। তবে ইসরায়েলও এসব হামলার জবাবে প্রায়ই এসব অঞ্চলে গোলাবর্ষণ করে থাকে।
বিএসডি/এমএম